সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৩ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনসিপিসহ তিন দলের ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে: তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক রোজা ও পূজা বিতর্ক: শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই চিকিৎসক মার্কিন নাগরিকের সেই মামলায় শওকত মাহমুদ আটক চলতি সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল: নির্বাচন কমিশন ধর্মের নামে দেশে ‘বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে’: মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা কাজী হতে পারবেন রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা চীনা সামরিক বিমানের রাডার লকে ক্ষুব্ধ টোকিও ‘মিনেসোটা প্রোটোকল’ মেনেই জুলাই শহীদদের শনাক্ত করা হবে: সিআইডি মেসির জাদুতে মায়ামির বাজিমাত, ঘরে তুলল প্রথম এমএলএস কাপ ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু

ইসলাম

ফজরের সুন্নতের পর কাজা নামাজ পড়া যাবে কি?

 প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ফজরের সুন্নতের পর কাজা নামাজ পড়া যাবে কি?

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুমিনের ওপর ফরজ ইবাদত। মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “নামাজ মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।” (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

অতএব, কোনো ওজর বা কারণ ছাড়া নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ নয়। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সময়মতো নামাজ আদায় না করে, তবে সে গুনাহগার হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৬)

তবে ভুলে যাওয়া, অনিবার্য কারণ বা বৈধ ওজরের কারণে কোনো নামাজ ছুটে গেলে পরে তা আদায় করতে হয়। এই নামাজকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ কাজা করা আবশ্যক, কিন্তু সুন্নত বা নফল নামাজ কাজা করার বিধান নেই।

নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যেকোনো সময় কাজা নামাজ আদায় করা যায়। সাধারণভাবে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরূহ। কিন্তু এ সময় কাজা নামাজ আদায় করা যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৩; কিতাবুল আছল ১/১২৬)

তবে ফজরের দুই রাকাত সুন্নতের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘরে বা সফরে যেকোনো অবস্থায়ই এ নামাজ পড়তেন।

উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) বর্ণনা করেছেন, “মুয়াজ্জিন ফজরের আজান দিলে এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে, রাসুল (সা.) ফরজ নামাজের আগে দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত সুন্নত পড়তেন।” (বুখারি, হাদিস : ৬০১)

আরেক হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের দুই রাকাত সুন্নতের মতো অন্য কোনো নফল নামাজের প্রতি এতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন না।” (বুখারি, হাদিস : ১১৬৩)

ফজরের ওয়াক্তে দুই রাকাত সুন্নতের পর অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়া মাকরূহ হলেও, কাজা নামাজ আদায় করা বৈধ ও অনুমোদিত। তাই যাদের কোনো ফরজ নামাজ ছুটে গেছে, তারা চাইলে ফজরের সুন্নতের পর তা আদায় করতে পারবেন।