সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫, আশ্বিন ২৮ ১৪৩২, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিশু

নাটোরে শিশুদের সুরক্ষায় আলোচনা সভা

 প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

নাটোরে শিশুদের সুরক্ষায় আলোচনা সভা

নাটোর, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে নাটোরে ‘শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আজ সোমবার সকাল দশটায় নাটোর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় গুণগতমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠার সুযোগ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তারা। 
 
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আলো’র নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলা, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, নাটোর কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জি এম ইস্রাফিল ইসলাম এবং সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোবাশ্বিরা আশরাফী ও ইসতিয়াক আহমেদ আবির।

শিক্ষার্থী মোবাশ্বির আশরাফী বলেন, শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকার। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে শিশুদের পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বাড়িতে বাবা-মা ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুধু পাঠ্যক্রমের মধ্যে রাখলেই হবে না তাদের নৈতিক শিক্ষায় অগ্রগামী এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের মানসিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান ও পরিবারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তবেই শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ তরান্বিত হবে, দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে, দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবে।

অপর শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ আবির বলেন, আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যত্ন পেলে রত্ন হয়ে গড়ে উঠবো। 

‘শিশুর কথা শুনব আজ, শিশুর জন্য করবো কাজ’ প্রতিপাদ্যে ৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন কর্মসূচী শুরু হয়। আগামীকাল আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শিশু অধিকার সপ্তাহ শেষ হবে।