কালভার্ট সংস্কারে ট্রেন চলেছে এক লাইনে, কমলাপুরে সূচি বিপর্যয়
তিতাস কমিউটার ট্রেন ধরার জন্য কমলাপুর স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে এসে অপেক্ষা করছিলেন রাসেল মিয়া নামে একজন যাত্রী। কাউন্টার থেকে সহজে টিকেট পাওয়ায় খুশিই ছিলেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে জানতে পারেন ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে অন্তত দুই ঘন্টা।
কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রির সময় এ তথ্যটি জানানো হলে ট্রেনের বদলে বাসে যাত্রা করতেন বলে জানান তিনি।
এই যাত্রীর ভাষ্য, “কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রির সময়ই বলে দেওয়া উচিত ছিল যে ট্রেন লেইট হবে। এখন টিকেট কেটে লাগেজ নিয়ে বসে আছি।"
বুধবার সকালে স্টেশনে এসে টিকেট কেটে এমন ভোগান্তিতে পড়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন চট্টগ্রাম, সিলেটেসহ বিভিন্ন জায়গার আরোও কয়েকজন যাত্রী।
এমন পরিস্থিতির কারণ জানতে চাইলে কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তেজগাঁওয়ে কালভার্ট সংস্কার কাজের জন্য চারঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল করেছে ‘এক লাইনে’। সংস্কার কাজে সময় লেগে যাওয়ায় ট্রেনের সূচিতে বিপর্যয় হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তেজগাঁতে একটা কালভার্ট সংস্কার কাজের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বুধবার কয়েকটি ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বিবেচনায় দিনটা ঠিক করা হয়েছিল।
“সেখানে কাজ কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন প্রবেশ ও বাহির হয়েছে। এতে শিডিউল বিপর্যয় হয়।”
স্টেশনে আসা শামীম আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, সকালে চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতি ট্রেন ছেড়েছে ২ ঘন্টা ১০ মিনিট বিলম্বে।
সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেসও বিলম্বে ছেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টারও।
সাড়ে ৮টার পর থেকে ডাবল লাইনে ট্রেন চলায় এখন ধীরে ধীরে সূচি ঠিক করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্টেশন মাস্টার বলেন, “আশা করি, দ্রুতই শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা সম্মানিত যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।”