বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

 প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ও আচরণবিধি পরিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলগুলোর সঙ্গে ধরাবাহিক সংলাপের চতুর্থ দিনে স্বাগত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান সিইসি।

তিনি বলেন, “আমাদের সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটো। আচরণবিধি জারি হয়েছে। আচরণবিধি পরিপাল ও সহযোগিতা চাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”

সংলাপে সকালের পর্বে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবও উপস্থিত রয়েছেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের আগে ধারাবাহিকভাবে কমিশন অংশীজনের সাথে আলোচনা করে এসেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলগুলোর সাথে আলোচনা চলে এসেছে। তবে এবার নির্বাচনের বিষয়ে এ সংলাপ হচ্ছে।

কিছু বিলম্বে এ সংলাপ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা আনন্দিত আপনারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে ইসির কাজ সহজ হয়েছে।”

সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একা নয়, দলসহ সবাই সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা দিয়েছেন।

“দলগুলো দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে। আমরাও ওয়াদা দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টাও দিয়েছেন। আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এক।”

নাসির উদ্দিনের কথায় “আচরণবিধিতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ ইনকরপোরেট করা হয়েছে খসড়া ওয়েবসাইটে দেওয়ার পর দল ও জনগণ, সংস্থা মতামত দিয়েছে। সবার মতামত পযালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

“আচরণবিধি প্রস্তুত বড় কাজ নয়, পরিপালনটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের প্রত্যাশা দলগুলো এক্সপেক্টেড রুল প্লে করবে।”

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলগুলোর সহায়তা চান সিইসি।

নাসির উদ্দিন বলেন, “দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ বিমুখ হয়েছে গত ১৫ বছরে। ফলাফলও জানান এমন মানসিকতা গো করেছিল। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের কথায় তৃণমূল সরাসরি প্রভাবিত হয়। আপনারা উদ্বুদ্ধ করেন ভোটকেন্দ্রে আসতে, ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে। দলীয় প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি পরিপালন করে।”

তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলগুলো ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

“কিভাবে সবাই মিলে, দল ভোটার ইসি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সবাই মিলে কীভাবে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপাহার দিতে পারি সে চিন্তা করব। সবার সহযোগিতা চাই। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ পেলে সুনদরভাবে এগিয়ে যাব।”

ধারাবাহিক সংলাপে বুধবার ১৩টি দলের সঙ্গে বসেছে নির্বাচন কমিশন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি-বিএমজেপি, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে সংলাপ চলছে।

দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি – বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাসদ মার্কসবাদীর সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।