শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ৩০ ১৪৩২, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

স্কুল-কলেজের ২ ছাত্র বাসে আগুন দিল কার ইন্ধনে, তদন্তে পুলিশ

 প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

স্কুল-কলেজের ২ ছাত্র বাসে আগুন দিল কার ইন্ধনে, তদন্তে পুলিশ

রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাঁধ মেইনরোডে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে কিরণমালা পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই বাসে আগুন লাগানোর সময় বিষয়টি স্থানীয় জনতা দেখতে পেলে তাদের ধাওয়া করলে তুরাগ নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা যায় নামকরা একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাইয়াফ। এ ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা তার বন্ধু সানিকে ধরে ফেলে জনতা।

পুলিশের কাছে আটক নিহতের বন্ধু, একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র, তার নাম রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান আমির সানি।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে কেরোসিনের বোতল ও লাইটার উদ্ধার করা হয়েছে। এসব দিয়েই তারা দাঁড়িয়ে থাকা সেই বাসে আগুন দেয়। এছাড়া কারো ইন্ধনে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছিল কি না, অথবা তাদের আগুন দেওয়ার জন্য নেপথ্যে কেউ সহযোগিতা করেছে কি না, বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে শাহ আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতিউর রহমান বাসে আগুন দেওয়া সেই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহত আব্দুল্লাহ আল সাইয়াফ (১৮) একটি নামকরা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় আটক নিহতের বন্ধু সানি, একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্র। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কিরণমালা পরিবহনের আগুন দেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া দেয়। এতে কিশোর সাইয়াফ জীবন বাঁচাতে তুরাগ নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ একদম অচেতন, কোনো সাড়া শব্দ নেই সাইয়াফকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।

বাসে আগুন লাগানোর সরঞ্জাম তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। কেরোসিনের বোতল ও লাইটার উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মতিউর রহমান আরও বলেন, নিহত ও আটক দুইজনই শিক্ষার্থী—একজন কলেজের এবং একজন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে মিরপুর ১০ এলাকায় থাকলেও একজনের বাসা বেনারসী পল্লী এলাকায়।

এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মিরপুর শাহ আলী থানাধীন উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ফাঁকা বাসে দুইয়ের অধিক যুবক প্লাস্টিকের বোতল থেকে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে সেটার আবার ভিডিও করছিল। পরে উপস্থিত লোকজন বাসে আগুন দেওয়া যুবকদের ধাওয়া করে সানিকে ধরে ফেলে, আর সাইয়াফ প্রাণ বাঁচাতে পাশে তুরাগ নদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু সে সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়। তাদের সঙ্গে থাকা অপর আরও একজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়া এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।