শাবিতে শিক্ষক নিয়োগে ‘রাজনীতির’ অভিযোগ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে সবচেয়ে ভালো রেজাল্টের কয়েক প্রার্থী বাদ পড়ার পর ‘অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির’ অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভও হয়েছে।
প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে একটি বিভাগের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে; অপরদিকে আরেকটি বিভাগের বাদ পড়া প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে আবেদন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সঙ্গে কর্তৃপক্ষ এটাও দাবি করেছে, নিয়োগে কোনো ‘অনিয়ম হয়নি’।
একটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রেজিস্ট্রার দপ্তরের নোটিসের মাধ্যমে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উপাচার্য।
অভিযোগকারীদের ভাষ্য, ‘কম যোগ্য’ প্রার্থী যেমন নিয়োগ পেয়েছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত নন’– এমন প্রার্থীকেও নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আর এসব করা হয়েছে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের তিনজন, ২৩ মার্চ কেমি কৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের চারজন এবং ১১ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দুইজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সিন্ডিকেট বোর্ডে সুপারিশ করা হয়।
সিইপি বিভাগ: ‘বাদ পড়াদের জন্য ইউজিসিতে আবেদন’
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি কেমি কৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের (সিইপি) প্রভাষক পদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষার পর বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে ২৩৬তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রার্থী হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইপি বিভাগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী দুইজন। তারা হলেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কায়সার হামিদ এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবদুল মবিন। তারা কেউ নিয়োগ পাননি।
মৌখিক পরীক্ষার সময় কায়সার হামিদের স্নাতকোত্তর শেষ হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হয়ত ‘মাস্টার্স’ ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়ায় তাকেও রাখা হয়নি। কিন্তু বিজ্ঞাপনে ‘মাস্টার্স’ থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত ছিল না। কায়সার হামিদের স্নাতকের সিজিপিএ ৩ দশমিক ৯৪।
অপরদিকে আবদুল মবিনকে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আবদুল মবিনের সিজিপিই ৩ দশমিক ৯২।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. হাসান শাহরিয়ার এবং বুয়েটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোহাইমিনুল ইসলাম তুলনামূলক কম সিজিপিএ নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন।
সিইপি বিভাগের এক শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, মোহাইমিনুলকে নির্দিষ্ট একটি ‘দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । প্রভাষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় বিশেষজ্ঞ (এক্সপার্ট) হিসেবে যিনি ছিলেন, তিনিও নির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক মতাদর্শের’ লোক হিসেবে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। সেই ‘বিশেষজ্ঞ’ উপাচার্যের সুপারিশে এ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই নিয়োগের আওতায় বিভাগের নওরিন খানম ও আমিরুল ইসলাম সাদ্দাম নামে দুজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নওরিনের সিজিপিএ ৩ দশমিক ৬৬ এবং সাদ্দামের ৩ দশমিক ৬৪।
এর মধ্যে নওরিন খানমের পিএইচডি এবং সাদ্দামের একাধিক গবেষণাপত্র ছিল।
সিইপি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রশিদ আবরার বলেন, “আমাদের সামাজিক মিডিয়ার সমালোচনা ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল যে, সামনে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে নিয়োগ বঞ্চিত উচ্চ ফলাফলধারী দুই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এক বছরের কাছাকাছি পার হয়ে গেলেও আমরা প্রশাসনের কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”
সিইপি বিভাগের বাদ পড়া প্রার্থী কায়সার হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া। কিন্তু আমাকে মাস্টার্স না থাকার অজুহাতে বাদ দিয়ে দিয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) অষ্টম গ্রেডের একটা চাকরিতে আমি প্রথম হয়েছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা হচ্ছে নবম গ্রেডের।
“বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেবে বলেছিল। এ আশায় তখন পেট্রোবাংলায় জয়েন করি নাই। সে আশায় আমি অন্য কোথায় স্থায়ীভাবে জয়েন করতে পারছি না। বিভাগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী আমি। এছাড়া আমার আড়াই বছরের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অভিজ্ঞতা আছে। আমার দুইটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আর ছয়টা পেপার চলমান।”
সিইপি বিভাগের তৎকালীন প্রধান ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক তামিজ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছিলাম। তবে ভালো রেজাল্টধারী দুজন শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে ওইদিন ভাইবা বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতে রাত ১১টা পর্যন্ত গড়ায়। এভাবে প্রকৃত মেধাবীদের বাদ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তা ভাল সুনাম বয়ে আনবে না।”
সিইপি বিভাগের নিয়োগের বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম বলেন, “ভাইবা বোর্ডে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় করে যাদের যোগ্য মনে করছে, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন ওই নিয়োগে বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী যারা বাদ পড়েছে, তাদেরকে নিয়োগের জন্য ইউজিসির কাছে আমরা আবেদন করেছি। ইউজিসি থেকে এখনো অনুমতি আসেনি।”
এফইটি: ‘গৃহিনী’ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের (এফইটি) একজন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ভাইবা বোর্ডের সুপারিশে তিন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা হয় বলে জানান বিভাগের শিক্ষকরা।
বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, “গত ফেব্রুয়ারিতে এফইটি বিভাগে প্রভাষকের দুটি পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০ এর বেশি প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষা জন্য ডাকা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যে তিনজনকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রাখা হয়, তাদের কেউ শিক্ষাজীবনে ব্যাচে প্রথম দিকে ছিলেন না।”
এই অধ্যাপক বলেন, “প্রায় ১৫ বছর অ্যাকাডেমিক জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে ‘গৃহিণী’র ভূমিকা পালন করা একজন নারীকে মৌখিক পরীক্ষার শেষে বাছাইয়ের তালিকার দুই নম্বরে রাখা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককের স্ত্রী। ওই শিক্ষক তার স্ত্রীর জন্য ‘রাজনৈতিকভাবে লবিং’ করেন।
শিক্ষক নিজেও নির্দিষ্ট একটি ‘রাজনৈতিক মতাদর্শ’ লালন করেন বলে দাবি করেন এফইটি বিভাগের ওই অধ্যাপক।
এই নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক খালিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষকের স্ত্রী মাস্টার্স করেছেন ২০১২ সালে। তার কোনো গবেষণাপত্র ছিল না। তাহলে তিনি কীভাবে ভাইবাতে দ্বিতীয় হন এবং কীভাবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়?”
এফইটি বিভাগের প্রধান ও মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা হয়ছিল। আমরা ভাইবা নিয়ে প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।”
এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম বলেন, “এফইটি বিভাগের নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তা এখনো সিন্ডিকেটে অনুমোদন হয়নি।”
এই নিয়োগের সুপারিশ এখনো খামবন্দি জানিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিএসই: বিক্ষোভের পর সুপারিশ স্থগিত
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগে দুজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ১৬ জুলাই রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কালাম আহমদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মেধা তালিকায় প্রথম মাইনুল হাসান মুহসিন এবং ২০তম মোফাসসির আহমেদ চৌধুরীকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট।
এর মধ্যে মুহসিনের সিজিপিএ ৩ দশমিক ৯৭ এবং মোফাসসিরের ৩ দশমিক ৮০। তাদের মৌখিক পরীক্ষা হয় ১১ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষায় তাদের মেধাক্রম ছিল যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয়। এর মধ্যে মুহসিনের কারখানায় চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং মোফাসসিরের একটি গবেষণাপত্র রয়েছে।
এই দুইজন ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেধাক্রমে তৃতীয়, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শিক্ষার্থীও আবেদন করেন। তাদের প্রায় সবার একটি করে গবষেণাপত্র এবং কারখানা বা শিক্ষকতার চাকরির অভজ্ঞিতা রয়েছে।
তবে এরমধ্যে ২০১৯-২০ ব্যাচে মেধাক্রমে অষ্টম অবস্থানে থাকা শিক্ষার্থীর কোনো গবেষণাপত্র ও অভিজ্ঞতা নেই।
সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯-২০ ব্যাচের মেধাক্রমে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ না দিয়ে ২০তম প্রার্থীকে ‘রাজনৈতিক লবিংয়ে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়োগ স্থগিত করে। এতে স্বাক্ষর করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কালাম আহমদ চৌধুরী।
বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, “ব্যাচের মেধাক্রমে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ২০তম শিক্ষার্থীকে কোনো একটি দলের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগের ভাইবা বোর্ডে এক্সটারনাল ও এক্সাপার্ট যে দুইজন ছিলেন, আমরা জানতে পেরেছি তারাও ওই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক। তারাই পক্ষপাতমূলক মার্কিং করে (নম্বর দিয়ে) ২০তম প্রার্থীকে দ্বিতীয় স্থানে এনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে।”
তিনি বলেন, “এ অনিয়মের জন্য আমরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসন এ নিয়োগকে স্থগিত করে এবং সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ বাতিল করা হবে প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দেয়।”
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক খালিদুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীর সিজিপিএ, গবেষণাকর্ম, প্রকাশনা ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কাউকে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুম বলেন, “এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন। আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ভালো হয়।”
আর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম বলেন, “রেজিস্ট্রার দপ্তরের নোটিসের মাধ্যমে সিএসই বিভাগের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। ওই স্থগিতের পর এখনো রেগুলার সিন্ডিকেট সভা বসেনি। যেগুলো হয়েছে সেগুলো ছিল জরুরি সিন্ডিকেট সভা। সামনে রেগুলার সিন্ডিকেট সভা হলে তা অবহিত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সার্বিক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, “সিএসই বিভাগসহ সব বিভাগে নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।”