কুমিল্লায় ১২ লাখ ৬৮ হাজার টিকা পাবে শিশু-কিশোররা

কুমিল্লা, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : কুমিল্লায় ১২ লাখ ৬৮ হাজার ১৯ জনকে টাইফয়েড টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আজ রোববার সকাল ১১ টায় কুমিল্লা সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা বিষয়ক ক্যাস্পেইন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ আলী নুর বশিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. সুভল চন্দ্র সাহা। মেডিকেল অফিসার ডা. ফারিয়া জাহানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. জাকারিয়া মোহাম্মদ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে হবে। একটি সুন্দর জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দিচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব প্রতিরোধ করে তালিকাভুক্ত সকল শিশুকে টিকা ক্যাম্পে আনতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। সকলের সহযোগিতায় এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে হবে।
এ সময় তারা টাইফয়েড রোগের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু দ্রুত ছড়ায় এবং সময়মতো সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। বক্তারা টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যকর ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর বশির বলেন, বিশ্বে ১ লাখ ১০ হাজারের মধ্যে ১০ হাজার বাংলাদেশে মারা গেছে। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। জেলায় টার্গেট মোট ৯৫ শতাংশ টাইফয়েড ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কুমিল্লায় ইতোমধ্যে ১২ লাখের মতো রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন এখনো চলমান আছে।
মতবিনিময় সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসক সুভল চন্দ্র সাহা।
তিনি জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে কুমিল্লায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ১২ লাখ ৬৮ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। মোট ১৮ কর্ম দিবসের এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
সভায় আরও বলা হয়, টিকা প্রহণের মাধ্যমে যক্ষা, ডিফথেরিয়া, হাম রুবেলা, পোলিও, হুপিংকাশি, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
এ্যাডভোকেসি সভায় জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।