রোববার ০৯ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৫ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফ্যাসিবাদগোষ্ঠি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে: আইজিপি বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট শাহবাগে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রাজশাহীতে আসিনি: আইন উপদেষ্টা এক মাসে লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি ‘সোহরাওয়ার্দীতে গাঁজা বেচতে নিষেধ করায় সাম্যকে হত্যা’ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৪ নেতা-কর্মী গ্রেফতার নেত্রকোণায় মশাল মিছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের কারণে সহস্রাধিক ফ্লাইট বাতিল ভোলায় নলকূপ খনন করলেই বেরিয়ে আসছে গ্যাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ডিএনএ’র পথিকৃৎ জেমস ওয়াটসনের জীবনাবসান জম্মু-কাশ্মীরের ‍কুপওয়ারায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ‘২ সন্ত্রাসী নিহত’

আন্তর্জাতিক

মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 প্রকাশিত: ১৫:৫১, ৯ এপ্রিল ২০২১

মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মিসরের রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মাহমুদ ইজ্জতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাবাহিনী সরিয়ে দেয়ার পর ইজ্জত জনগণকে সহিংস হওয়ার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

আগে ধারণা ছিল ৭৬ বছর বয়সী এই নেতা দেশ থেকে পালিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ গত বছর অগাস্টে কায়রো থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার বাসভবন থেকে এনক্রিপ্টেড মেসেজ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছিল। সেই সব বার্তা তিনি দেশ ও বিদেশের ব্রাদারহুডের সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন।

ইজ্জতের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি ব্রাদারহুড সদস্য ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাতের সময় তার সংগঠনের সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলেছিলেন। ২০১৫ সালে সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেলের হত্যার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। সাবেক প্রসিকিউটার জেনারেল ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের বিরোধী।

ইজ্জতের আইনজীবীরা অবশ্য এই রায় সম্পর্কে কিছু বলেননি। তবে ব্রাদারহুড আগে জানিয়েছিল, ইজ্জতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে তার অনুপস্থিতিতে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তাকে গ্রেফতারের পর আবার বিচার শুরু হয়। ২০১৩ থেকে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান।

২০১৪ সাল থেকে সেনা প্রধান আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তিনি নানাভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব কম করার চেষ্টা করছেন। মুরসি ও ব্রাদারহুড সমর্থকরা ২০১৩ সালে কায়রোতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তখন সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারান। সাম্প্রতিক সময়ে মিসরের বিচারকরা কয়েকশ মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা ও কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল