সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনসিপিসহ তিন দলের ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে: তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক রোজা ও পূজা বিতর্ক: শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই চিকিৎসক মার্কিন নাগরিকের সেই মামলায় শওকত মাহমুদ আটক চলতি সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল: নির্বাচন কমিশন ধর্মের নামে দেশে ‘বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে’: মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা কাজী হতে পারবেন রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা চীনা সামরিক বিমানের রাডার লকে ক্ষুব্ধ টোকিও ‘মিনেসোটা প্রোটোকল’ মেনেই জুলাই শহীদদের শনাক্ত করা হবে: সিআইডি মেসির জাদুতে মায়ামির বাজিমাত, ঘরে তুলল প্রথম এমএলএস কাপ ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু

জাতীয়

ভারতীয় টিভি সিরিয়াল থেকে কৌশল শিখে পরিবারের চারজনকে হত্যা

 প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ২৪ নভেম্বর ২০২০

ভারতীয় টিভি সিরিয়াল থেকে কৌশল শিখে পরিবারের চারজনকে হত্যা

প্রথমে কোমল পানীয়’র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নিজের ভাই-ভাবি ও তাদের দুই সন্তানকে খাওয়ায় রায়হান। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় চাপাতি দিয়ে গলা কেটে তাদের হত্যা করে সে। ভারত থেকে প্রচারিত টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে খুনের এ কৌশল কাজে লাগায় সে।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক মাস পাঁচ দিন পর আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক। এর আগে গত ২২ নভেম্বর সিআইডি আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়।

অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, গ্রেফতার রায়হানুল ইসলাম দীর্ঘদিন ফেনসিডিলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সেবন করতো। এক সময় ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং জেলও খাটে। এরপর স্ত্রী ফাহিমার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রায়হানুল বেকার অবস্থায় ভাই ও ভাবির সংসারে থাকতে শুরু করে। ভাবি সাবিনা খাতুন মাঝে মধ্যে টাকার প্রসঙ্গ তুলে তার সঙ্গে যে ব্যবহার করতো তা সে মেনে নিতে পারেনি। এক সময় ভাই-ভাবিসহ পুরো পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করে রায়হানুল।

ওমর ফারুক বলেন, ‘হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থানীয় মো. আবু জাফরের দোকান থেকে দুটি স্পিড (কোমল পানীয়) কিনে রায়হানুল তার মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ঘুমের ওষুধ মেশানো এ পানীয় সে তার ভাই, ভাবি, ভাতিজি ও ভাতিজাকে খেতে দেয়। তারা ঘুমিয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে চাপাতি দিয়ে প্রথমে তার ভাই এবং পরে ভাবিসহ বাকিদের হত্যা করে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রায়হানুল মূলত তার ভাই ও ভাবিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় তার ভাতিজা ও ভাতিজি জেগে ওঠে। এ কারণে সে তাদেরও হত্যা করে। ঘটনার পর রায়হানুল হত্যার আলামত মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ রক্ত মাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়।’

রায়হানুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে বলে, টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে সে হত্যার কৌশল শেখে। পরবর্তীতে সে কৌশলেই হত্যাকাণ্ড চালায়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল