বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ১৪ ১৪৩২, ০৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রন ও রিক হক শিকদারের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রন ও রিক হক শিকদারের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সারার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি রোববার ‘অবৈধ’ মোবাইল ফোন বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে এনইআইআর মিথ্যা তথ্যে ‘জুলাইযোদ্ধা’, ১২৮ জনের গেজেট বাতিল ষষ্ঠ কিস্তির আলোচনা সারতে ঢাকায় আইএমএফ মিশন ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৬৪ ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে: মির্জা ফখরুল ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ: সালাহউদ্দিন আহমদ জাতীয় নির্বাচন `সঠিক সময়ে না হলেও’ আগে গণভোট চায় জামায়াত চার দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে পুলিশের অভিযানে নিহত ৬৪ আফগানিস্তানকে ভারতের হাতের পুতুল বলল পাকিস্তান, কাবুলকে কড়া হুঁশিয়ারি

জাতীয়

চুরি হওয়া নবজাতকের লাশ সেফটি ট্যাঙ্কে, মা-বাবা গ্রেফতার

 প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৮ নভেম্বর ২০২০

চুরি হওয়া নবজাতকের লাশ সেফটি ট্যাঙ্কে, মা-বাবা গ্রেফতার

নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর সাতক্ষীরার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে শিশু সোহানের লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে।

পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারো স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। এ সমস্ত কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লাশটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার ভোর রাতে লাশটি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানাবেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।
 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল