বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৮ ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

অন্তঃকোন্দলে ‘২ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি’ দিয়ে মামুনকে হত্যা: ডিবি ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে তল্লাশি, আটক ৬ হাইকোর্ট বিভাগে ৬৭ বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি দেড়শ ছাড়িয়ে জয়, রান পাহাড়ের পথে বাংলাদেশ চীন সফরে স্পেনের রাজা ফিলিপ বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার ‘দায়বদ্ধতা’ রয়েছে : ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের মধ্যে ইরাকে ভোটগ্রহণ শপথ নিলেন ২১ বিচারপতি কেরাণীগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রমনা থানার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন, উত্তরায় মাইক্রোবাসে এবার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে পেট্রোলবোমা গাজীপুরে তিন বাসে আগুন ঢাবির পাঁচ ভবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেপ্তার ৫

জাতীয়

চুরি হওয়া নবজাতকের লাশ সেফটি ট্যাঙ্কে, মা-বাবা গ্রেফতার

 প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৮ নভেম্বর ২০২০

চুরি হওয়া নবজাতকের লাশ সেফটি ট্যাঙ্কে, মা-বাবা গ্রেফতার

নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর সাতক্ষীরার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে শিশু সোহানের লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে।

পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারো স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। এ সমস্ত কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লাশটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার ভোর রাতে লাশটি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানাবেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।
 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল