মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ২ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন, জাতির ‍উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস খালেদা জিয়া ইতিহাসের ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’: ইউনূস হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল: আমির হামজা নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি: নাহিদ স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: ফখরুল প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন হামলায় ৮ নিহত ‘ঘৃণার প্রতীক’ পাকিস্তানের পতাকা আঁকা নিয়ে জবিতে তুলকালাম বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস আজ ওসমান হাদিকে গুলি: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার বিবিসির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

ইসলাম

মিথ্যা কসমের কাফফারা কী?

 প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

মিথ্যা কসমের কাফফারা কী?

প্রশ্ন. আমার স্বামী বিদেশে থাকেন। তিনি নির্দিষ্ট আত্মীয়-স্বজন ছাড়া অন্য কারো সাথে ফোনে কথা বলতে ও অপরিচিত নাম্বারের কোনো ফোন রিসিভ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তা আমি কয়েকবার করে ফেলেছি। তিনি আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমি  অস্বীকার করি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস না করায় একপর্যায়ে বলেছি, আপনি বিশ্বাস করুন, আল্লাহর কসম, আমি এরূপ করিনি।

এখন এ মিথ্যা কসমের পাপ থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাব? কসমের কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি কী জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর. মিথ্যা বলা কবীরা গুনাহ। আর আল্লাহর পবিত্র নাম নিয়ে মিথ্যা কসম করা আরো জঘণ্য অপরাধ। সহীহ বুখারীতে ইবনে উমর রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা, মাতাপিতার কথা অমান্য করা, হত্যা করা ও মিথ্যা কসম করা কবীরা গুনাহ।-সহীহ বুখারী ২/৯৮৭

এছাড়া শরীয়তসম্মত বিষয়ে স্বামীর আদেশ-নিষেধ মেনে চলাও স্ত্রীর কর্তব্য। স্বামীর উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি সর্বাবস্থায় তার অনুগত থাকা এবং পর্দার বিধান মেনে চলা স্ত্রীর অবশ্যকর্তব্য। প্রশ্নোক্ত মিথ্যা কসমের জন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমনটি না করার ব্যাপারে অঙ্গিকারাবদ্ধ হতে হবে। অবশ্য এ জন্য কোনো কাফফারা দেওয়া লাগবে না।

-সূরা বাকারা (২) : ২২৫; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/৪৫৪; সহীহ বুখারী ২/৯৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২৪৫১; মাবসূত, সারাখসী ৮/১২৭; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৭; রদ্দুল মুহতার ৩/৭০৫; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৪৮

মাসিক আলকাউসার