মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ২ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন, জাতির ‍উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি: নাহিদ স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: ফখরুল সৌদি আরবে এ বছর রেকর্ড ৩৪০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বীর আহমেদকে দেখতে হাসপাতালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন হামলায় ৮ নিহত ‘ঘৃণার প্রতীক’ পাকিস্তানের পতাকা আঁকা নিয়ে জবিতে তুলকালাম বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস আজ ওসমান হাদিকে গুলি: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার বিবিসির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

জাতীয়

শরীয়তপুরে বিজয় দিবসের ভোরে মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন

 প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরে বিজয় দিবসের ভোরে মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন

বিজয় দিবসের ভোরে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে আংগারীয়া ইউনিয়নের চর নিয়ামতপুর গ্রামে কে বা কারা কবরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের পরিবার।

গ্রামবাসী বলছে, চর নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা মান্নান খান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বসতঘরের পাশে তাকে কবর দেন।

রাতের আঁধারে কে বা কারা তারা কবরের ওপর কিছু পাটখড়ি, গাছের ডাল পালা ও পাতা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সকালে বাড়ির সদস্যরা কবরের ওপর আগুন দেওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। পরে পালং থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী মাহফুজা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নিয়ামতপুর গ্রামে বসবাস করেন।

মান্নানের মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন, “মায়ের চিৎকার শুনে বাবার কবরের পাশে ছুটে যাই। দেখি, কবরের ওপরে খানিকটা জায়গাজুড়ে ছাই পড়ে আছে। সদ্য নিভে যাওয়া আগুনের ছাই।

“তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই। কারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করেছে, তা বুঝতে পারছি না। তবে ঘটনাটিতে আমরা মর্মাহত ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।”

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, “একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়ার তথ্য তার মেয়ে আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাটির বিস্তারিত খোঁজ নেব।”

পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”

এমন ঘটনা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিকদার।

তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া হয়েছে, এমন খবর পেয়েছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কি করণীয় তা ঠিক করব।’

তবে এ মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়ার বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

তার ভাষ্য, “আমি এমন কোনো ঘটনা এখনো শুনিনি। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”