নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।”
পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান বিএনপি প্রার্থী।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
“সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব।”
শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই মাসুদুজ্জামান মাসুদের হঠাৎ প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও।
তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।”
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, “কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।”