আজ নেদারল্যান্ডসে ডানপন্থার শক্তি যাচাইয়ে ভোট হচ্ছে
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ইউরোপজুড়ে ক্রমবর্ধমান ডানপন্থী উত্থানের প্রেক্ষাপটে, নেদারল্যান্ডসের জনগণ আজ বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। যা এই প্রবণতার শক্তি পরিমাপের এক ধরনের পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, অভিবাসনবিরোধী ও ইসলামবিরোধী নেতা গিয়ার্ট ওয়াইল্ডার্স তাঁর দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) নিয়ে দুই বছর আগের বিস্ময়কর নির্বাচনী সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে চলেছেন।
তবে ভোটের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত। কারণ, ভোটারদের প্রায় অর্ধেকই সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় রয়েছে এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আরও তিনটি দল ভোটে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে।
লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাচ রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সারা দে ল্যাঞ্জে এএফপিকে বলেন, ‘বর্তমানে বলা অসম্ভব কে এই নির্বাচনে জিতবে। কারণ, চারটি দলই কার্যত প্রথম স্থানের জন্য সমান অবস্থানে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ৫০ শতাংশেরও বেশি ডাচ ভোটার এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। তিনি বলেন, তবে একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত: যে কোনো ফলেই ওয়াইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
অভিবাসন ইস্যুতে তীব্র মতবিরোধের কারণে আগের সরকার ভেঙে দিয়ে ওয়াইল্ডার্স এই আগাম নির্বাচনের সূচনা করেন। তাঁর দল পিভিভি-কে চারদলীয় জোট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
মূলধারার সমস্ত দল তার সাথে আবারও অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে। কেউ তাঁকে বিশ্বাস করছে না, আবার কেউ তাঁর মতাদর্শকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে।
নেদারল্যান্ডসের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কাঠামোর কারণে কোনো দলই এককভাবে ৭৬টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না, তাই সমঝোতা ও জোট গঠন অপরিহার্য।
এএফপিকে এক নির্বাচনী সাক্ষাৎকারে ওয়াইল্ডার্স বলেন, ‘আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে।’
ওয়াইল্ডার্স, যিনি কখনও কখনও ‘ডাচ ট্রাম্প’ নামে পরিচিত, বলেন ‘ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এবং যেসব মানুষ আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মানানসই নয় তাদের আগমনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’