শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ২৯ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

মিরাজের তাৎপর্য: ২য় পর্ব

 প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মিরাজের তাৎপর্য: ২য় পর্ব

দ্বিতীয় তাৎপর্য: দুনিয়ার সকল নাস্তিকদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য।
নবি সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নাম দেখে এসেছেন। যাতে কেউ এ কথা বলতে না পারে এবং সন্দেহ করতে না পারে যে, ঈমানের কথা আমরা যা কিছু শুনি যেমন: আল-াহ আছেন, জান্নাত আছে, জাহান্নাম আছে এসব কিছু আসলে আছে কিনা? কারণ এগুলো তো কেউ কোন দিন দেখেনি! এখন আর এরকম সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কারণ এগুলো আছে তা এমন একজন দেখে এসে বলেছেন, যাকে দুনিয়ার কেউ মিথ্যাবাদী বলতে পারে নি। ঘোর শত্র“ পর্যন্ত যাকে মিথ্যুক বলতে পারে নি। আমার আপনার মতো লক্ষ মানুষকে যদি দেখানো হত, আর আমরা দেখে এসে বলতাম, তবও মানুষ অস্বীকার করতে পারত যে, হয়তো পরিকল্পিতভাবে এরা মিথ্যা বলছে। কিন্তু এমন একজনকে দেখানো হয়েছে, যাকে কেউ মিথ্যুক বলতে পারবে না। আমার আপনার দেখার চেয়ে, লক্ষ কোটি মানুষের দেখার চেয়ে নবির পক্ষে একা দেখার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশী। সুতরাং বর্তমান দুনিয়ার কোন নাস্তিক-বেঈমান যেন এ কথা বলতে না পারে যে, যেই জান্নাত-জাহান্নাম দেখা যায় না, যেই আল¬াহ দেখা যায় না তা বিশ্বাস করিনা। কারণ এসব নাস্তিক-বেঈমানের গড ফাদার আবু জেহেল, ওতবা, শাইবা, মুগীরারা আমাদের বিশ্বনবিকে আল-আমীন বা বিশ্বাসী উপাধী দিয়েছে। এখন এ যুগের টেবলেট মার্কা নাস্তিক-বেঈমানরা বিশ্বনবিকে মিথ্যুক বলার এক চুল পরিমাণও সুযোগ নেই। তাহলে সহজ কথা হল, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল নাস্তিক-বেঈমানদেরকে এ কথা বুঝিয়ে দিলেন কোন মুসলমান অন্ধ বিশ্বাসী নয়, বরং নাস্তিক-বেঈমানরাই অন্ধ বিশ্বাসী, কারণ তারা নিজের পিতা-মাতার বিয়ে না দেখে অন্ধ বিশ্বসী। অথচ কোন মুসলমান জান্নাত-জাহান্নাম, এবং আল্লাহকে দেখে বিশ্বাস করে। তারা না দেখে অন্ধ বিশ্বাসী নয়।