শুক্রবার ০২ মে ২০২৫, বৈশাখ ১৮ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

পহেলগাঁও হামলায় ‘র’-এর জড়িত থাকার গোপন নথি ফাঁস চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নিয়ে ইন্টারিম সরকারকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ ‘মানবিক করিডোরের’ সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান ‘জাতীয় স্বার্থে প্রস্তুত পাকিস্তান’—ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন সেনাপ্রধান বৈষম্যবিরোধী হয়ে থাকলে শ্রমিকের বেতন বাড়ান: ইউনূসকে সেলিম ‘দুর্দশায়’ ২৬ বাংলাদেশি, ‘ব্যবস্থার’ নির্দেশ ফিজি প্রধানমন্ত্রীর ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা: বিশেষ এলাকায় ‘কঠোর পদক্ষেপ’ ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস উত্তেজনা কমাতে একসঙ্গে কাজ করুন: ভারত-পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য হামলার ধরন যেমন হতে পারে ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয় পোপ হতে চান ট্রাম্প অবশেষে সেই খনিজ চুক্তিতে সই করল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন

ইসলাম

শবে কদর উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি না?

 আপডেট: ১৪:২৪, ২৭ মার্চ ২০২৫

শবে কদর উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি না?

প্রশ্ন

শবে বরাত ও শবে কদর উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি না-এ প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। এক ধরনের চটি বই পুস্তিকায় বিভিন্ন নিয়মের কথা লেখাও থাকে। বিশেষ বিশেষ সূরা দিয়ে নামায পড়া বা নির্ধারিত রাকাত নামায বিশেষ সূরা দ্বারা আদায় করা ইত্যাদি। প্রশ্ন এই যে, হাদীস শরীফে এ দুই রাতে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি? থাকলে তা জানতে চাই। তদ্রূপ কেউ কেউ এ রাতগুলোতে জামাতের সঙ্গে নফল নামায পড়তে চায়। এ ব্যাপারে শরয়ী বিধান কী?

উত্তর

এ দু’রাতের জন্য বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায নেই। সব সময় যেভাবে নামায পড়া হয় সেভাবেই পড়বে অর্থাৎ দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব হয় আদায় করবে এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়বে। তদ্রূপ অন্যান্য আমলেরও বিশেষ কোনো পন্থা নেই। কুরআন তেলাওয়াত, যিকির-আযকার, দুআ-ইস্তেগফার ইত্যাদি নেক আমল যে পরিমাণ সম্ভব হয় আদায় করবে। তবে নফল নামায দীর্ঘ করা এবং সিজদায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করা উচিত, যা কোনো কোনো হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয়। বিভিন্ন বই-পুস্তকে নামাযের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানূন লেখা আছে অর্থাৎ এত রাকাত হতে হবে, প্রতি রাকাতে এই এই সূরা এতবার পড়তে হবে-এগুলো ঠিক নয়। হাদীস শরীফে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই, এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা। বলাবাহুল্য যে, যে কোনো বই-পুস্তিকায় কোনো কিছু লিখিত থাকলেই তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিজ্ঞ আলিমদের নিকট থেকে জেনে আমল করা উচিত। শবে বরাত ও শবে কদরের নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকী করণীয়। ফরয নামায তো অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার প্রমাণ হাদীস শরীফেও১ নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না।-ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকীম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ পৃ. ২১৯ তবে কোনো আহ্বান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই কিছু লোক যদি মসজিদে এসে যায় তাহলে প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে মশগুল থাকবে, একে অন্যের আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হবে না।

আলকাউসার