বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মুফতি মো. রুহুল আমিনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিনের মাথায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার বিকালে বলা হয়, “বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।”
গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান ও সাবেক দুই খতিবের অনুসারীদের মধ্যে ‘হাতাহাতি ও জিনিসপত্র ভাঙচুরের’ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয়েছে মসজিদের দরজা-জানালাও।
এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকের মতো খতিব রুহুল আমিনও ‘আত্মগোপনে চলে যান’। পরে খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওয়ালিউর রহমান খানকে।
গত শুক্রবার রুহুল আমিন বায়তুল মোকাররমে ফিরলে নামাজ পড়তে আসা লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা জাহেদ আলী নামের এক ব্যক্তি বলেছিলেন, “নামাজের আগে নিয়মানুযায়ী বায়তুল মোকাররম মসজিদের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পুরানো খতিব মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে ঢুকে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ নিয়ে ঝামেলা বেঁধে যায়।”
সাবেক ও বর্তমান খতিবের অনুসারীদের মধ্যে ‘হাতাহাতি ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়’ বলে জানান পুলিশের এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “তারা একপক্ষ আরেক পক্ষকে জুতার বাক্স থেকে জুতা বের করে ছুড়ে মেরেছে।”
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী ওইদিন বলেন, "ভেতরে নতুন এবং পুরাতন খতিব নিয়ে সমস্যা হয়েছে। পরে জেনেছি পুরাতন খতিব নামাজ পড়াতে পারেননি। নতুন খতিব জুমার নামাজ পড়িয়েছেন।"
পরে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।