শাহজালালের ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
									শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ছোটখাটো যে সমস্যা আছে, তা সমাধান করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা–সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সর্বাধিক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত সমস্যার ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
এছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র কীভাবে দ্রুত উদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 
গতকাল সোমবার বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গেল ১৪ মাসে ৪০ টির বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং বড় সংখ্যক মানুষ মবের শিকার হয়েছে-এ বিষয়ে নজরে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা সিভিলিয়ান দ্বারা যে কোনো হত্যাকাণ্ড হোক না কেন, প্রত্যেকটি বিষয় আইনের আওতায় এবং আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে।
উসকানিমূলক বক্তব্য কি দেশের বাইরে থেকে বেশি আসছে, নাকি দেশের ভেতর থেকে বেশি আসছে—কারা এসব বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, উসকানিমূলক বক্তব্য দেশের বাইরে থেকে বেশি আসে। দেশের ভেতরে যারা এই ধরনের কাজ করে, পুলিশ তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, এ বক্তব্যগুলোর অনেক সময় সত্যতা থাকে না। কিন্তু সাংবাদিকদের বক্তব্য সত্য থাকে। সেজন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো সাংবাদিকরাই বেশি প্রতিহত করতে পারেন, যদি আপনারা সত্য সংবাদটি দেন। 
কোনো ধরনের সন্দেহ থাকলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করারও আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম। 
যেসব অপরাধী বিদেশে আছে, তাদের দেশে প্রত্যর্পণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বড় বড় পদে থাকা কমিশনারদের মতো ব্যক্তি এবং অন্যান্য অপরাধীদের যারা বিদেশে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মিডিয়াকেও সোচ্চার হতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি এক্সট্রাডিশন ট্রিটি কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।
আলাদা পুলিশ কমিশন কবে হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলাদা পুলিশ কমিশন গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এর সুবিধা কী হবে, তা হওয়ার পরই জানানো হবে।