মঙ্গলবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি : ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি, ‘চূড়ান্ত হচ্ছে’ অধ্যাদেশ মাগুরায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, ফের সংঘাতে আহত ৫০ ভোট: এবার নিবন্ধন পেল ৮১ স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষায় জামায়াত, বললেন পরওয়ার কারাগারে শওকত মাহমুদ, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার বিটিভি-বেতারে সিইসির তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আরো পেছাল মহানবীকে কটূক্তি: তিতুমীরের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ রিমান্ডে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ডে দিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারি: আদালতকে নাসার নজরুল আনিসুল-মঞ্জুর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী, ধারণা পুলিশের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির ভারতের গোয়া নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের মধ্যে নেপালি ৪ জন নিউইয়র্কে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক

সব দোষ জেলেনস্কির ওপর চাপাচ্ছেন ট্রাম্প

 আপডেট: ১২:৩২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সব দোষ জেলেনস্কির ওপর চাপাচ্ছেন ট্রাম্প

সৌদি আরবে মার্কিন-রুশ আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে, এই যুদ্ধের জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন।

 ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মার-এ-লাগো এস্টেটে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, আমার এই যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা আছে, এবং আমি মনে করি এটি (আলোচনা) খুব ভালোভাবে চলছে। কিন্তু আজ আমি শুনলাম, ‘ওহ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’ আপনারা তো তিন বছর ধরে সেখানে আছেন। আপনাদের উচিত ছিল এটি (যুদ্ধ) শেষ করা।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কখনই এটি (যুদ্ধ) শুরু করা উচিত হয়নি। আপনারা একটি চুক্তি করতে পারতেন। আমি ইউক্রেনের জন্য একটি চুক্তি করিয়ে দিতে পারতাম।

ট্রাম্প জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের নেতৃত্বে রিয়াদে আলোচনার পর তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে ‘অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী’ হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, তারা খুবই ভালো ছিল। রাশিয়া কিছু করতে চায়, তারা বর্বরতা বন্ধ করতে চায়।

ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন উঠেছিল যে তার প্রশাসন কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচনের জন্য রাশিয়ার আহ্বানকে সমর্থন করবে কিনা— জবাবে তিনি দাবি করেন জেলেনস্কির সমর্থন মাত্র ৪ শতাংশ এবং সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে দেশটিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, হ্যাঁ, আমি বলব যে আপনারা যখন আলোচনায় বসতে চান... ইউক্রেনের জনগণের কি বলা উচিত নয় যে, ‘অনেক দিন হয়ে গেছে আমাদের নির্বাচন হচ্ছে না?’ এটা রাশিয়ার কথা নয়, এটা আমার কথা এবং অন্যান্য অনেক দেশেরও কথা।  

তবে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সোসিওলজি কর্তৃক ডিসেম্বরে পরিচালিত একটি জনমত জরিপে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা জেলেনস্কির প্রতি আস্থা রেখেছেন, যা গত ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ শতাংশ কম।  

ট্রাম্পের এই মন্তব্যগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং ভবিষ্যতের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে তার বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রতি সমালোচনা এবং রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখা গেছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক তৈরি করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই আলোচনা ভবিষ্যতে কী রূপ নেয় এবং তা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে কতটা ভূমিকা রাখে।