শুক্রবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২১ ১৪৩২, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

গায়ানার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলি হামলায় গাজায় দুই শিশুসহ নিহত ৫ ইউরোপের ‘আত্মবিশ্বাস’ ফেরানোর আহ্বান জার্মান প্রেসিডেন্টের অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাবমেরিন বিক্রি নিশ্চিত পেন্টাগনের খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন না: রিজওয়ানা খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান নির্বাচনের ‘নতুন মানদণ্ড’ তৈরি করতে হবে: এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ‘বিল্ডিং কোড’ গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ খালেদা জিয়াকে নেওয়া হবে লন্ডনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শাও’ নোটিস দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার তফসিলের আগে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ লিভ টু আপিল খারিজ, অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ খালেদা জিয়ার জন্য শুক্রবার দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই শিশুসহ ৭ ফিলিস্তিনি নিহত আমরা সোমালি অভিবাসীদের চাই না`: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী শাতায়েহর পদত্যাগ

 প্রকাশিত: ১৭:৫২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী শাতায়েহর পদত্যাগ

সারা বিশ্ব যখন গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে বিভক্ত ঠিক তখন পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ।

আজ সোমবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে ্যথাসম্ভব বেশি মতৈক্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে  তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ফিলিস্তিনের সরকার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর মার্কিন পক্ষের ক্রমবর্ধমান চাপ আছে। আর এই চাপের মধ্যেই মোহাম্মদ শাতায়েহর পদত্যাগের খবর এল।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মোহাম্মদ শাতায়েহর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বটে। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করতে পারেন।

২০১৯ সালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ শাতায়েহ। এর আগে তিনি ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। মন্ত্রিসভার উদ্দেশে লেখা এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গত পাঁচ মাসের যুদ্ধে গাজা যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই এখন প্রধান কাজ।

তার ভাশায়, ‘‘আর সেজন্য সরকার ও রাজনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার, যাতে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি আমলে নিয়ে পুনর্গঠনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেজন্য জাতীয় ঐক্য এবং সংলাপ দরকার, আর দরকার ফিলিস্তিনিদের সবার মধ্যে ঐকমত্য। আর এসব করতে পুরো ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ওপর ‘প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটির’ আরো ক্ষমতা প্রয়োজন।”

৩০ বছর আগে অসলো শান্তি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনের সরকার কাঠামো তৈরি হয়েছিল, যার অধীনে ছিল পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম।

এই তিন অঞ্চল একসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর জোট ‘প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটির’ অধীনে ছিল, কিন্তু ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে চলে যায়।

ইসরায়েল বলে আসছে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা হামাসকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। যুদ্ধের পর প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি গাজা শাসন করতে চাইলে সেটাও তারা মেনে নেবে না।

হামাস গতবছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করলে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে ওই ভূখণ্ডের অধিকাংশ বাসিন্দা।