সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১৫ ১৪৩২, ০৯ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

ইইউ জানাল—ট্রাম্প বৈঠকের আগেও ইউক্রেন সমর্থন চলবে। গিনির নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনের দাবি। তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া ফ্লোরিডায় ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক আগামীকাল। থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ‘তৎক্ষণাৎ’ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হন্ডুরাসের নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন স্পেনের ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক হবে : জেলেনস্কি মেক্সিকোতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ৩২ বড়দিনে ৬০ বন্দিকে মুক্তি দিল ভেনিজুয়েলা সরকার মহানবীর (সা.) ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচরেরা ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত: তারেক যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান তারেক রহমানের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই: তারেক রহমান আই হ্যাভ আ প্ল্যান: তারেক রহমান সকলকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান ঢাকায় নেমেই ইউনূসকে তারেকের ফোন, দিলেন ধন্যবাদ দেড় যুগ পর মাতৃভূমিতে পা রাখলেন তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশে তারেক রহমান, রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াত আমিরের পোস্ট

জাতীয়

ডিএসসিসি’র ৭৬৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে অনিয়ম, চলছে তদন্ত

 প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২১ জানুয়ারি ২০২১

ডিএসসিসি’র ৭৬৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে অনিয়ম, চলছে তদন্ত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সংযুক্ত ওয়ার্ড শ্যামপুর, দনিয়া,মাতুয়াইল ও সারুলিয়ায় ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়মের অভিযোগে ডিএসসিসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার।

ডিএসসিসির সংযুক্ত এসব ওয়ার্ডে ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তবে বছর না পেরুতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টির পাশাপাশি ধরেছে ফটল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

জানা গেছে, নিজের এই দুর্নীতি আড়াল করতে কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা করে চলছেন প্রকল্প পরিচালক কাজী বোরহান উদ্দিন।

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবসংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বছর না পেরুতেই এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে কাজ শেষ হওয়ার পরে এরই মধ্যে দুইবার সংস্কারও করা হয়েছে।

প্রকল্পে রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ও বৃক্ষরোপণ করার কথা থাকলেও আদতে এসবের কিছুই করা হয়নি। এর ফলে সামন্য বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের শেষ নেই। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় দুর্বল পাইলিং, রড কম দেয়াসহ নানা কারণে নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যেই বিভিন্ন স্থান ভেঙে যায়। নির্মাণ কাজ চলাকালীন নিম্নমানের কাজের বিষয়ে এলাকাবাসী বারবার সচেতন করলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। 

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসসিসি সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প কাজে এসব অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতামত স্থানীয় সরকার বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক কাজী বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি জড়িত নই, এসব মিথ্যা। প্রমাণ সাপেক্ষে এ বিষয়ে আবারো জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান এবং ফোন কেটে দেন। 

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল