এ কে খন্দকার ছিলেন ‘অবিস্মরণীয় সৈনিক’: শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা
মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপতি, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীরউত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
“মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা গেছেন বলে আইএসপিআরের এক বার্তায় জানানো হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৯৬ বছর।
এ কে খন্দকারের মৃত্যুর খবরে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা এসেছে তার দপ্তর থেকে।
শোকবার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
“এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামনে ব্যপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।”
প্রধান উপদেষ্টার বর্ণনায় এ কে খন্দকার ছিলেন একজন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তার কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ।”
তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার, স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পাবনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এ কে খন্দকার।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০১১ সালে এ কে খন্দকারকে স্বাধীনতা পদক দেয় সরকার।