মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘রাষ্ট্রদ্রোহ’: বিচারের জন্য প্রস্তুত হাসিনাসহ ২৮৬ জনের মামলা নভেম্বরে ঢাকায় ১৭ ককটেল বিস্ফোরণ, ৯ যানবাহনে আগুন আমিরাতে রোজা ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ মামুন হত্যা: আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত ১২ ৫ ক্যাচ ছাড়ার দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৮ উইকেট ভারতের মোদি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য ভুটান সফর করছেন রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১ দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িতরা বিচারের সম্মুখীন হবে : প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন ম্যাখোঁ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে: উপদেষ্টা গুজব ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে বিশেষ সাইবার সেলের কার্যক্রম শুরু দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত হচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামুনের শরীরে ৭ গুলির চিহ্ন, ৬টিই ছেদ করে বেরিয়ে যায় ১৪ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা, কমতে পারে আরও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট প্রকাশ ময়মনসিংহে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু গভীর রাতে ঢাকায় ৩ বাসে আগুন

জাতীয়

নভেম্বরে ঢাকায় ১৭ ককটেল বিস্ফোরণ, ৯ যানবাহনে আগুন

 প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে ঢাকায় ১৭ ককটেল বিস্ফোরণ, ৯ যানবাহনে আগুন

চলতি মাসের শুরু থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর ১৫ স্থানে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া গত দুই দিনে ৯টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫০ জনকে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘ঢাকা মহানগরীরর চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত’ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিছুদিন ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রচেষ্টা করছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে। গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল সদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ এবং বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোসহ আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং গত দুইদিনে ৯টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অপচেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১৪টি ঝটিকা মিছিল করে তারা এবং স্বল্পস্থায়ী এসব ঝটিকা মিছিলের ছবি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত ঝটিকা মিছিলের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অংশগ্রহণকারী ৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছে পাওয়া তথ্য এবং পরিচয় যাচাই করে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। অর্থের বিনিময়ে তারা ঢাকায় এসে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে এবং আবার ঢাকার বাইরে চলে যায়। গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হেলমেট ও মাস্ক পরে তারা ভোর বা দিনের ব্যস্ত সময়ে টার্গেটকৃত স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা এই কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ব্যবহার করছে।

রাজধানীবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোন অবস্থায় যেন কোনো অপরিচিত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া না হয়। মেস, হোটেল, গেস্ট হাউজে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে বোর্ডার ওঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।

এ ছাড়া নিজ নামীয় মোটরসাইকেল বা যানবাহন অন্য কাউকে দেওয়া আগে বা ভাড়া দেওয়ার আগে কোনো দুর্বৃত্তের হাতে চলে যাচ্ছে কি না দৃষ্টি রাখবেন। আপনাদের এলাকায় কোন আগন্তুককে দেখলে বা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় বা ৯৯৯ এ অবহিত করার অনুরোধ করছি।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনোভাবেই আপনাদের যানবাহন অরক্ষিত অবস্থায় রাখবেন না। কেননা গত দুই দিনে যেসব যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশই রাতে রাস্তায় অরক্ষিতভাবে পার্ক করা ছিল। বাসের নিরাপত্তা দেওয়া জন্য কোনো লোক ছিল না। অরক্ষিত এসব বাসেই তারা আগুন দিয়েছে। আর যেসব বাসে যাত্রী কম, এমন বাস তারা টার্গেট করেছে। যাত্রীভর্তি বাস তারা টার্গেট করেনি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি। আজকে যারা সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতার চেষ্টা করছে, তা প্রতিরোধের জন্য আমরা জনগণের সহায়তা চাই। এদেশের জনগণ, ঢাকাবাসী স্বৈরাচার পতনে ভূমিকা রাখে। যে ধরনের নাশকতা কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, তাদের প্রতিহত করবে ঢাকাবাসী। আমরা ঢাকাবাসীর সাথে আছি।

এ সময় পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।