মেট্রোরেলে মৃত্যু: চোখের জলে বিদায় আজাদকে
ঢাকার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহত আবুল কালাম আজাদকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার ঈশ্বরকাঠী গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গ্রামের বাড়ির পাশে মোক্তারেরচর পূর্ব পোড়াগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমরুল হাসানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ (৩৬) ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায় বসবাস করতেন।
ঢাকায় তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন। পরিবারটি তার আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। আয়ের একটি অংশ আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের জন্যও পাঠাতেন।
রোববার দুপুরে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা হয়। পরে রাত ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়ি পৌঁছায়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন।
পরিবারের লোকজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা আবুল কালাম আজাদকে একনজর দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমান। স্বজনদের কান্নায় সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
আবুল কালাম আজাদের বড়ভাই খোকন চোকদার বলেন, “আমার উপার্জনক্ষম নিরপরাধ ভাইটি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলার কারণে মারা গেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।”
নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাকি দাস বলেন, “এ দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি সরকারের উচ্চমহল এ বিষয়ে পরিবারের জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করবে।”