বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৬ ১৪৩২, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে রাজি না হলে ‘করার কিছু নেই’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন করবো, তবে কোন দল থেকে নিশ্চিত না: আসিফ মাহমুদ আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ধানের শীষকে জেতানোর বিকল্প নেই: তারেক রহমান মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার অচিরেই দেশে ফিরে হাল ধরবেন তারেক রহমান: মির্জা আব্বাস ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন, ‘অবরুদ্ধ’ অর্থ উপদেষ্টা দক্ষিণ চীনে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু ইউরোপকে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ ও ‘দুর্বল’ বললেন ট্রাম্প ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর: খালেদার জন্য হাসিনা ‘উদ্বিগ্ন’ প্রথম ধাপে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো এনসিপি মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আতিকুর রহমান প্রাথমিকের ছুটি বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ

জাতীয়

ঈদ উপহার

ভূমিহীন-গৃহহীনদের আরো ১৮,৫৬৬টি বাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

 প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১১ জুন ২০২৪

ভূমিহীন-গৃহহীনদের আরো ১৮,৫৬৬টি বাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় আজ সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে আরো ১৮হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।

শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, কক্সবাজারের ঈদগাঁও এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।

সরকার প্রধান লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।

নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারাদেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি এবং উপজেলা ৪৬৪টি।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দু’টি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে পাঁচ জন করে)।

প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের

অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন।
পরে, প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবোগীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে আবাসন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।