বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

বাজেট কফি চেইন এলএপিকে ঘিরে বিতর্ক, বার্লিনে ক্ষোভ-প্রতিবাদ ট্রাম্পের সঙ্গে `মুখোমুখি` আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ: হামাস জাতিসংঘের গাজা ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন মাসে গড়ে ঢাকায় ২০ হত্যা: পুলিশ নির্বাচন `উৎসবমুখর` করতে তথ্যচিত্র বানাবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা স্ত্রী-কন্যাসহ নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রমশ তাপমাত্রা কমবে হাসিনার বিরুদ্ধে রায় প্রমাণ করে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: প্রধান উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার নয়: এনসিএসএ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন

জাতীয়

শিক্ষককে পিটিয়ে খুন করা জিতুর বয়স ১৬ না ১৯?

 আপডেট: ১৭:৫৪, ৩০ জুন ২০২২

শিক্ষককে পিটিয়ে খুন করা জিতুর বয়স ১৬ না ১৯?

ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা করা ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স কতো? মামলার এজাহারে তার বয়স ১৬। কিন্তু র‌্যাব জানাচ্ছে, জিতুর বয়স ১৯। সেই কারণেই র‌্যাব অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে।  

গত শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু শিক্ষক উৎপলের ওপর হামলা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যান উৎপল।

এই ঘটনার পর পলাতক থাকা জিতুকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। আর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে জিতুর হত্যাকাণ্ড ও প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসে।

সেখানে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, জিতুর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যে জন্মতারিখের সঙ্গে এজাহারে উল্লেখিত বয়স মিলছে না।

তিনি বলেন, জিতুকে গ্রেপ্তারের পর তার জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়। সেখানে জিতুর জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘‘সে অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর। কিন্তু মামলার এজাহারে লেখা ১৬ বছর।’’

জিতুর বয়স এজাহারে ১৬ থাকায় আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। দেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের অপরাধের বিচার হয় কিশোর আইনে। জিতুকে সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য বয়স কম দেখানো হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। 

তবে খন্দকার আল মঈন জানান, ‘‘তার শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সময় ব্রেক ছিল। প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে পরিবার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাকে জোর করে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে আবার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বেপরোয়া চলাফেরার কারণেও শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে।’’

তিনি নিশ্চিত করে দিয়ে বলেন, ‘‘বয়স ১৯ নিশ্চিত হওয়ার পর র‌্যাব অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবে। তবে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট নিয়েছি।’’