রোববার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৬ ১৪৩২, ০১ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

কবি নজরুলের পাশে শায়িত হাদি প্রিয় হাদি, তুমি থাকবে প্রতিটি বাংলাদেশির বুকের মধ্যে: প্রধান উপদেষ্টা লাখো জনতার অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন এ কে খন্দকার ছিলেন ‘অবিস্মরণীয় সৈনিক’: শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা সুদানে নিহত ছয় সেনা সদস্যের মরদেহ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপতি এ কে খন্দকারের প্রয়াণ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বসতঘরে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ, শিশুর মৃত্যু সহিংসতার পোস্ট: অভিযোগ করার আহ্বান সুরক্ষা এজেন্সির দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব ‘ধর্ম অবমাননা’: ময়মনসিংহে শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫ মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উদযাপন সিরিয়ায় ৭০টিরও বেশি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলা

জাতীয়

শিক্ষককে পিটিয়ে খুন করা জিতুর বয়স ১৬ না ১৯?

 আপডেট: ১৭:৫৪, ৩০ জুন ২০২২

শিক্ষককে পিটিয়ে খুন করা জিতুর বয়স ১৬ না ১৯?

ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা করা ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স কতো? মামলার এজাহারে তার বয়স ১৬। কিন্তু র‌্যাব জানাচ্ছে, জিতুর বয়স ১৯। সেই কারণেই র‌্যাব অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে।  

গত শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু শিক্ষক উৎপলের ওপর হামলা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যান উৎপল।

এই ঘটনার পর পলাতক থাকা জিতুকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। আর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে জিতুর হত্যাকাণ্ড ও প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসে।

সেখানে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, জিতুর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যে জন্মতারিখের সঙ্গে এজাহারে উল্লেখিত বয়স মিলছে না।

তিনি বলেন, জিতুকে গ্রেপ্তারের পর তার জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়। সেখানে জিতুর জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘‘সে অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর। কিন্তু মামলার এজাহারে লেখা ১৬ বছর।’’

জিতুর বয়স এজাহারে ১৬ থাকায় আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। দেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের অপরাধের বিচার হয় কিশোর আইনে। জিতুকে সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য বয়স কম দেখানো হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। 

তবে খন্দকার আল মঈন জানান, ‘‘তার শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সময় ব্রেক ছিল। প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে পরিবার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাকে জোর করে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে আবার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বেপরোয়া চলাফেরার কারণেও শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে।’’

তিনি নিশ্চিত করে দিয়ে বলেন, ‘‘বয়স ১৯ নিশ্চিত হওয়ার পর র‌্যাব অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবে। তবে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট নিয়েছি।’’