বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ভোট আয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা গণভোট নিয়ে করণীয় কী: অধ্যাদেশের অপেক্ষায় ইসি আচরণবিধি বাস্তবায়নের ‘সক্ষমতা নেই’ ইসির: এনসিপি ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ কারাগারে নাইজেরিয়ার স্কুল অপহরণের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ক্ষোভ ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৯ কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তফসিলের পর মাঠ প্রশাসনে একযোগে রদবদল চায় জামায়াত ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৩ বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে দুজনের মৃত্যু জাপানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়েছে ১৭০টির বেশি ভবন এআই বুদ্বুদ ফাটলে কেউই নিরাপদ থাকবে না: গুগল প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের শততম টেস্ট শতরানে রাঙানোর অপেক্ষায় মুশফিক

মতামত

৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে আর নির্বাচনের দরকার কী!

 প্রকাশিত: ১৬:২০, ১২ নভেম্বর ২০২৫

৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে আর নির্বাচনের দরকার কী!

বর্তমানে বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। শোনা যাচ্ছে আরেক বৃহৎ দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সাথে নির্বাচনি আসন নিয়ে কথা বলছে। যেহেতু তারা বিরোধী আসনে বসতে চান না, তাহলে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। আরও একটি নতুন এবং আলোচিত দলও বিএনপির সাথে আসন নিয়ে কথা বলছে। আর জমিয়তের বিষয়টি তো চাউর আছেই। যদিও এই সুরে সংসদীয় আসন নিয়ে জামায়াতের হতাশার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তথাপি তাদের কিছু আসন আছে যেগুলোতে তারা জিতবেন। কিন্তু আসন সংখ্যা ভারী করতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে তাদের সঙ্গীদের হালত কী হবে বলতে পারবো না।

যদি বিএনপি ২০০ আসন তাদের হাতে রাখে এবং জামায়াতকে ৫০টি, নতুন দলকে বিশটা এবং নিবন্ধিত অন্যান্য দলকে কমপক্ষে একটা করে দিয়ে দেয়, এভাবে ৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, মারামারির ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করার দরকার কী? সকল দল একটা কাগজে সই করে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিলেই হলো যে, আমরা ঐকমত্যে পৌঁছে গেছি, আমাদের গেজেট প্রকাশ করুন এবং শপথের ব্যবস্থা নিন।

এভাবে ঐকমত্যের কমিশন, ঐকমত্যের সংস্কার, ঐকমত্যের সংসদ এবং ঐকমত্যের সরকার গঠন হলে বিশ্ব আমাদের সৃজনশীলতা দেখবে। হয়তো আমরা সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে যেতে পারি।

এমতাবস্থায় জমিয়ত পাঁচ সাতটা আসনের প্রত্যাশা না করে জামায়াত জোটের বাকিদের নিয়ে কথিত ইসলামি স্রোত তৈরি করতে পারে। শায়খুল হাদীস ওবায়দুল্লাহ্ ফারুক, পীর সাহেব চরমোনাই ও মাওলানা মামুনুল হক এক মঞ্চে উঠে প্রচারণা শুরু করলে দেশে আবার নুতন সুর উঠতে পারে। ভেজাল ইসলাম ও ভেজাল রাজনীতি থেকেও জাতি মুক্তি পেতে পারে। আমাদের পজিশনের নয়, অপজিশনের আসনে বসতে অসুবিধা কী? এতে আমাদের একটা স্বকীয়তা ফুটে উঠতে পারে।