শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৫ ১৪৩২, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ যাচাই করা হবে: গভর্নর ‘শত কোটি টাকার’ অনিয়ম: কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক ২৭তম বিসিএস: ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন সিঙ্গাপুরেই হাদির অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে পরিবার: ইনকিলাব মঞ্চ মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ জেআইসিতে ‘গুম-নির্যাতন’: হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ হাদির জন্য এখন দোয়াই বেশি দরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি: ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক জোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে পর ভেনেজুয়েলার পাশে থাকার ঘোষণা চীনের হাজারীবাগের হোস্টেলে এনসিপির জান্নাতারা রুমীর মরদেহ ট্রাইব্যুনালে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারতীয় ভিসা সেন্টারের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু শিল্প শ্রমিকদের জন্য ‘প্রবাসী ফি` বাতিল করেছে সৌদি আরব ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ‘আগামী সপ্তাহে মায়ামিতে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া’

আন্তর্জাতিক

সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

 প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১৭ নভেম্বর ২০২০

সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিমত ন্যাটো। ট্রাম্প ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন।

আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা আগেই করে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি চেয়েছিলেন, অর্ধেক মার্কিন সেনা বড়দিনের মধ্যে আমেরিকায় ফিরে আসুক।

মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেনা যাতে ফিরে আসতে পারে ট্রাম্প এবার সেই নির্দেশ দিতে চলেছেন। আফগানিস্তানে এখন সাড়ে চার হাজারের মতো মার্কিন সেনা আছে। ইরাকে আছে তিন হাজার। দুই জায়গাতেই সেনার সংখ্যা অর্ধেক করা হতে পারে। কিন্তু আমেরিকা যেভাবে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করছে, তাতে ন্যাটো উদ্বিগ্ন। ন্যাটোর মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করা উচিত। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এই দুই দেশে ন্যাটোর শরিক দেশের সেনাও আছে।

ন্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''আফগানিস্তানে ১২ হাজারের মতো সেনা আছে। আমরাও আমাদের সেনা অ্যাডজাস্ট করছি। প্রয়োজনের থেকে এক মুহূর্ত বেশি সেনাসেখানে থাকবে না। আবার এও সত্যি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমরা যে লাভ পেয়েছি, তাও আমরা হারাতে চাই না।''

ন্যাটোর সচিব এখন সদ্যনিযুক্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলছেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর সেনা যাবতীয় সুযোগসুবিধার জন্য পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। তাই আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলায় ন্যাটোও বিপাকে পড়েছে। আবার ট্রাম্পের কার্যকাল শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু তিনি বাইডেনকে ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। তাই বাইডেন এই ব্যাপারে কী মনে করেন, তা জানা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে আছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ন্যাটো সচিবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সচিব মিলারের আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানে সহযোগিতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে বিদেশি যত সেনা আছে, তার অর্ধেক আমেরিকার। দোহাতে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা এগোচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানে আবার মাঝে মধ্যেই সহিংসতা দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

অনলাইন নিউজ পোর্টাল