ইন্দোনেশিয়ার স্কুলের মসজিদে বিস্ফোরণে আহত অর্ধশতাধিক
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি স্কুলের মসজিদে শুক্রবার দুটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
একজন ছাত্রকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ জাকার্তার উত্তরাঞ্চলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
১৬ বছর বয়সী মুহাম্মদ রিজকি মুজাফফর এএফপিকে বলেন, ‘স্কুলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সবাই হুড়োহুড়ি করে মাঠের বাইরে দৌড়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় অনেক ছাত্র আহত হয়েছে এবং তাদের অনেককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মুজাফফর বলেন, স্কুল মসজিদে জম্মুর নামাজ শুরু হওয়ার ঠিক আগে বিস্ফোরণটি ঘটে।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র বুদি হারমান্তো বলেন, এই ঘটনায় প্রায় ৫৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩৩ জন ‘এখনও চিকিৎসাধীন’ রয়েছে।
জাতীয় পুলিশ প্রধান লিস্টিও সিগিত প্রাবোও বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন ছাত্র। সে গুরুতর আহত হয়েছে। হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
লিস্টিও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে আমরা বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’
রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-সমন্বয়কারী মন্ত্রী লোডেউইজক ফ্রেইড্রিচ পাউলাস জনসাধারণকে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তারা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা লোডেউইজককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, "এটি একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড," তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, স্কুল ক্যাম্পাসের মসজিদের পিছনে এবং এর দরজার কাছে বিস্ফোরণগুলো ঘটে।
বোমা স্কোয়াডের টেকনিশিয়ানসহ তদন্তকারীরা স্কুল ক্যাম্পাসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এএফপি’র একজন সাংবাদিক নামাজের গালিচায় প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পান।
১৭ বছর বয়সী ছাত্রী কিনজা গাইসান রায়ান এএফপিকে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
তিনি জাকার্তার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কিনজা আরো বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে বিকট আওয়াজটি এসেছে, সম্ভবত সাউন্ড সিস্টেম থেকে। কিন্তু পরে দেখা গেল যে বিস্ফোরণটি নামাজের জায়গার নিচ থেকে এসেছে।’
একজন ছাত্রের ভাই ফেরদি ইব্রাহিম জানান, বিস্ফোরণের খবর শুনে তিনি ‘তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্কিত’ হয়ে পড়েন।
৩০ বছর বয়সী ইব্রাহিম বলেন, ‘অবশেষে, আমার ভাই-বোনের শিক্ষকের কাছ থেকে আমি ফোন পাই। তারা হাসপাতালের জরুরি কক্ষে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’