ইইউ’র প্রতিরক্ষা সহায়তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা খাতকে সহায়তা দিতে নতুন এক কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে।
উৎপাদন ও সরবরাহ চেইন জোরদারে প্রাথমিকভাবে ১.৫ বিলিয়ন ইউরো (১.৮ বিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘ আলোচনার পর হওয়া এই অগ্রগতি ইইউ’র প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
পাশাপাশি এটি ‘ইউক্রেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারেও’ ভূমিকা রাখবে বলে সংস্থাটি বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা খাত কর্মসূচির (ইডিপি) এই ১.৫ বিলিয়ন ইউরোর অনুদানভিত্তিক বাজেট ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত হয়।
একে ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউ’কে ‘প্রতিরক্ষায় প্রস্তুত’ করে তোলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন।
ইউরোপীয় সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কিনা-এমন প্রশ্নে ইডিপি নিয়ে আলোচনাগুলো দীর্ঘদিন আটকে ছিল। আবার কিছু ইইউ সদস্য দেশ এই কর্মসূচির অর্থ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার পক্ষে ছিল।
শেষ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় পৌঁছায়। সেখানে বলা হয়েছে, ইইউ বা এর অংশীদার দেশগুলো (যেমন নরওয়ে) ছাড়া অন্য দেশ থেকে সংগ্রহ করা যন্ত্রাংশের পরিমাণ মোট বিনিয়োগের ৩৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ফ্রাঁসোয়া জ্যাভিয়ে বেলামি বলেছেন, ইউরোপে দীর্ঘদিন প্রচলিত আমদানি নির্ভর
প্রথা বদলে দিয়ে নিজস্ব শিল্পভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে ইডিপি।
বর্তমানে ইইউ তাদের সামরিক অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৬০ শতাংশেরও বেশি ইউরোপের বাইরে থেকে থেকে আমদানি করে। যার বেশিরভাগই মূলত যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
ব্রাসেলসের লক্ষ্য হলো এই হার কমিয়ে ৪৫ শতাংশে নামিয়ে আনা।
ইউক্রেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য ইডিপি বাজেটের প্রথম দফায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হবে।
এদিকে, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানিয়েছে, এই বাজেটের অংশ হিসেবে ইইউ’র বাইরের যেসব দেশ ইডিপি’তে অংশ নিতে আগ্রহী তারাও অর্থ সহায়তা দেবে। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাজ্য ও কানাডার কথা বলা হয়েছে।