বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, আশ্বিন ৩ ১৪৩২, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

অস্ত্রোপচারের তারিখ চলে গেছে, মায়ের চোখের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৪:২১, ৩১ মে ২০২৫

অস্ত্রোপচারের তারিখ চলে গেছে, মায়ের চোখের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে সেবা বন্ধের চতুর্থ দিন, অস্ত্রোপচার না হওয়ায় রোগীদের চোখের অবস্থা আরও খারাপের দিকে

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা। কেউ অস্ত্রোপচারের তারিখ মিস করেছেন, কেউ ঝাপসা দৃষ্টিতে দিন কাটাচ্ছেন, কেউবা চোখের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন।

সাভার থেকে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা শান্তা আক্তার বলেন, “চোখের জন্য ভালো চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয় বলেই এখানে এসেছি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের নির্ধারিত তারিখ চলে গেছে। মায়ের চোখের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা না পেলে বড় বিপদ হতে পারে।”

শুধু শান্তা নন, সিরাজগঞ্জ থেকে আসা বাবুল হোসেনও একই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর মেয়ে জেসমিন আক্তারের আজ অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। বাবুল বলেন, “মেয়ের চোখ থেকে পানি পড়ছে। চিকিৎসা না হলে চোখের ক্ষতি হয়ে যাবে।”

গত বুধবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা অনুপস্থিত। শতাধিক রোগী ফটকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রসহ কোনো সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই।

হাসপাতালে ভর্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগী রোহান মাহমুদ বলেন, “কারও এক চোখ নষ্ট, কেউ ঝাপসা দেখেন, আবার কারও ভালো চোখেও সমস্যা শুরু হয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব?”

চোখের চিকিৎসার জন্য দেশের নির্ভরযোগ্য এই প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক দিন ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের ফটকে নিরাপত্তায় আনসার-পুলিশ মোতায়েন থাকলেও চিকিৎসাসেবা কবে চালু হবে—তা কেউ জানে না।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম প্রথম আলোকে বলেন, “হাসপাতাল এখন বন্ধ। চিকিৎসক, নার্স কেউ আসছেন না। কবে নাগাদ চালু হবে, তা বলা যাচ্ছে না।”

হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানের বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে আপত্তিকর কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে হাসপাতালে না পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

চিকিৎসাসেবা দ্রুত পুনরায় চালুর দাবিতে রোগী ও স্বজনদের কণ্ঠে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন—চোখের চিকিৎসার ভরসা এখন কোথায়?