পার্বত্য চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্যের সহায়তা প্রকল্প পরিদর্শন

ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে সফর করেছেন। তিনি সেখানে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিদর্শন করেন।
ওই অঞ্চলের প্রান্তিক ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বৃটিশ হাইকমিশন বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর দু’দিনের সফরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি যান সারাহ কুক। সেখানে যুক্তরাজ্যের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংগঠনগুলো মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ণে একসঙ্গে কাজ করছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো পরিদর্শণের সময় কুক দেখেন, তার দেশের সহায়তা নারীদের নিরাপদ প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা এবং জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের মত জীবনরক্ষাকারী সেবাও দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই জীবনে প্রথমবার এই সেবা নিচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমগুলোও ঘুরে দেখেন তিনি। এসব উদ্যোগ সরকারি স্কুলগুলোর সহায়তা করছে এবং স্কুলে না আসা শিশু, বিশেষ করে মেয়েদের, মূলধারার শিক্ষায় পুনরায় সংযুক্ত করার সুযোগ দিচ্ছে।
কুক বলেন, ‘হাইকমিশনার হিসেবে প্রথমবারের মত পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলের প্রান্তিক ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য।
বৃটিশ হাইকমিশনের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ইউএনএফপিএ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। এর আওতায় প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সহায়তায় ১২ হাজারেরও বেশি নিরাপদ প্রসব এবং ৮ হাজারেরও বেশি নারীর জরায়ুমুখের ক্যানসার স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্যের সহায়তায় ইউনিসেফের ‘এডুকেট দ্য মোস্ট ডিসঅ্যাডভান্টেজেড চিলড্রেন’ কর্মসূচি পার্বত্য চট্টগ্রামের হাজার হাজার শিশুকে স্কুলে ফিরতে সহায়তা করেছে।
কেবল বান্দরবানেই ২ হাজার ৭০০-এরও বেশি শিশু, যার প্রায় অর্ধেকই মেয়ে, নিয়মিত শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। তারা বাংলাদেশের নৃতাত্ত্বিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ নীতিকে গুরুত্ব দিয়েছে।