"ইসরায়েলের হামলায় কাতারের কড়া জবাব আসছে?"
কাতার ও উপসাগরীয় দেশগুলো কীভাবে ইসরায়েলের হামলার জবাব দেবে
আমরা বিভিন্ন সংঘাতের মধ্যস্থতা করি, কখনো বিভিন্ন সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকি, কখনোবা শান্তির দূত হিসেবে ভূমিকা রাখি—কাতারের এমন একটি গর্ব ছিল।
কিন্তু সেই কাতারেই প্রথমবারের মতো বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। এতে করে জ্বালানি তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগরের ছোট দেশটি ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল।
গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামাসের শীর্ষ কোনো নেতা নিহত হননি।
দোহায় হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল নতুন এক সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এবারই তারা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) কোনো সদস্যরাষ্ট্রে হামলার দায় স্বীকার করল।
কাতার জিসিসির এমন এক সদস্যরাষ্ট্র, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের আঞ্চলিক সদর দপ্তর (সেন্টকম) অবস্থিত। সেখানে আট হাজারের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
এখন কাতার কীভাবে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে, সেদিকে চোখ রাখছে সবাই।লন্ডনের কিংস কলেজের উপসাগরীয় নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়াস ক্রিগ মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, ‘স্বল্প মেয়াদে কাতার সেই হাতিয়ারগুলোই ব্যবহার করবে, যেগুলোতে তারা সবচেয়ে দক্ষ। তা হলো কূটনীতি ও আইন।’
ক্রিগ আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ যেখানে সম্ভব, সেখানেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে কাতার।’আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক ক্রিস্টিন দিওয়ান বলেন, আরব লিগ, ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) অন্যান্য যৌথ প্ল্যাটফর্ম থেকেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দামূলক বিবৃতি আদায়ের চেষ্টা করবে দোহা।
ক্রিস্টিন মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে এই হামলাকে কেন্দ্র করে কোনো মতপার্থক্য থাকলে তা শক্তিশালীভাবে সামনে আনা এবং ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ সৃষ্টি করাই হবে এসব তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য।’
মঙ্গলবার হামলার পর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি আইনজীবী দল গঠন করা হয়েছে।