দিনাজপুরে শিক্ষকদের সক্ষমতা উন্নয়নে আইডিয়া মেলা অনুষ্ঠিত

দিনাজপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী পাঠদানের কৌশল উদ্ভাবনে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আইডিয়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ব্যতিক্রমধর্মী আইডিয়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়। গুড নেইবারস বাংলাদেশ বোচাগঞ্জ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে উপজেলার সেতাবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ১০টি স্কুলের ১০০ জন শিক্ষক এবং ১৭৫ জন অভিভাবক ও বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা, প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়ানোর পদ্ধতি, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া উদ্ভাবন, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার নানা আইডিয়া উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা উন্নয়ন ও পাঠদানের কৌশলগত বিষয়গুলো নিজেদের মত করে উপস্থাপন করেন।
গুড নেইবারস্ বাংলাদেশ জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে আইডিয়া মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফ হাসান।
মো. মারুফ হাসান বলেন, এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা বিষয়ক মেলার আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা পাঠদানের নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। শিক্ষামূলক এই আয়োজনে অংশগ্রহণের পর শিক্ষকরা যুগোপযোগী ও আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে পাঠদানে সক্ষম হবেন বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক, গুড নেইবারস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার পলাশ রনি মণ্ডল এবং গুড নেইবারস বাংলাদেশ বোচাগঞ্জ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সিডিসি সভাপতি বিশ্বনাথ রায়।
মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন,আমার বয়স এখন ৫৫ বছর চলছে। বেঁচে থাকলে আগামী ৫ বছর শিক্ষকতা করতে পারবো। আমি একজন অঙ্কের শিক্ষক। আজকের এই ব্যতিক্রমধর্মী মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি অনেক নতুন জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কাজে লাগবে ।
মেলায় অংশগ্রহণকারী অভিভাবক ব্যবসায়ী মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার এক পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। পুত্র দশম শ্রেণীতে এবং কন্যা সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী মেলা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর হবে বলে আশা করি।