ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত আসছে ।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত আসছে
কাতারের রাজধানী দোহায় শীর্ষ সম্মেলনে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়েছেন। কাতারে সাম্প্রতিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দোহায় শুরু হয়েছে আরব লিগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জরুরি সম্মেলন। এর এক দিন আগে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দোহায় একান্ত বৈঠকে বসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকর পদক্ষেপের খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করেন। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের একটি আলোচনা দল, যারা দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করছিল। ওই প্রস্তাবটি গাজায় ইসরায়েলের দুই বছরের চলমান যুদ্ধ শেষ করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল।রোববারের অধিবেশনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল থানি ইসরায়েলের হামলাকে ‘বর্বর’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে আঞ্চলিক সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কাতার তার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বৈধ ও আইনগত পদক্ষেপ নিতে চায়।’সম্ভাব্য পদক্ষেপের দিকনির্দেশনা: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্মেলনকে একটি ‘স্পষ্ট রোডম্যাপ’ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মুসলমানরা এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে, সবাই দেখছে এতে কী সিদ্ধান্ত আসে।’
দোহার ওপর ইসরায়েলি হামলার দুই দিন পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া প্রয়োজন এবং কোনো দেশই যেন না ভাবে যে, গাজা যুদ্ধ তার ওপর প্রভাব ফেলবে না।
বাস্তব পদক্ষেপ হিসেবে কী নেওয়া যেতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তারা (আরব দেশগুলো) এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কথা বলেছে। এটি এক ধরনের সম্মিলিত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের প্রস্তাব। একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে পাকিস্তান উম্মাহর অংশ এবং দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দোহায় রওনা দেওয়ার আগে আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও সম্মেলন থেকে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, সোমবার সন্ধ্যায় শেষ হতে যাওয়া এই সম্মেলনটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে পারে।