সোমবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১৭ ১৪৩২, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

তারেক রহমানের ফেরায় বাধা থাকলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে: আসিফ নজরুল কেমন আছেন খালেদা জিয়া? ‘বিভ্রান্ত না হওয়ার’ আহ্বান ফখরুলের খালেদার জন্য চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন: ফখরুল খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, নিচ্ছেন তরল খাবার আন্দোলনে শিক্ষকরা, অধিকাংশ সরকারি স্কুলে হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: প্রেস সচিব বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া রেহানার প্লট দুর্নীতি: খুশি নন খুরশীদের আইনজীবী, দুদকও অসন্তুষ্ট বাংলাদেশে প্লট দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ এশিয়ার বন্যার্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনী, মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ হাসিনার ৫ রেহানার ৭ ও টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড

পর্যটন

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাতযাপনের সুযোগ কাল থেকে শুরু

 প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাতযাপনের সুযোগ কাল থেকে শুরু

ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আগামীকাল থেকে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাতযাপনের সুযোগ পাবেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-এই দুই মাস রাতযাপন অনুমোদিত থাকবে।

 

গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দ্বীপটির অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রচারের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপঙ্কর বড়া আজ বাসসকে এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ১৩ অনুযায়ী এবং ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নির্দেশিকা, ২০২৩’ অনুসারে এ নির্দেশিকা জারি করা হয়।

 

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কোনো জাহাজকে দ্বীপে চলাচলের অনুমতি দেবে না।

 

পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোডবিহীন টিকিট জাল হিসেবে গণ্য হবে।

 

পর্যটকদের সময়সূচি ও দ্বীপে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

 

নভেম্বর মাসে পর্যটকরা শুধু দিনের বেলায় দ্বীপে যেতে পারবেন, রাতযাপন নিষিদ্ধ। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাতযাপনে অনুমতি দেওয়া হবে।  

 

দৈনিক পর্যটক সংখ্যা সর্বাধিক ২ হাজার জনে সীমাবদ্ধ থাকবে। ফেব্রুয়ারিতে কোনো পর্যটক প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

 

দ্বীপের সংবেদনশীল পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সৈকতে রাতে আগুন বা বাতি জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি করা, বারবিকিউ পার্টির আয়োজন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

 

কেওয়া বন এলাকায় প্রবেশ, ফল সংগ্রহ বা বিক্রি এবং সামুদ্রিক কচ্ছপ, পাখি, প্রবাল, কাঁকড়া, শেলফিশ বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতি করা নিষিদ্ধ।

 

সৈকতে মোটরযুক্ত যানবাহন, যেমন- মোটরসাইকেল ও সি-বাইক, ব্যবহার নিষিদ্ধ।

 

পর্যটকদের নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বা একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন সামগ্রী যেমন- চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, ছোট শ্যাম্পু বা সাবানের প্যাক, ৫০০ থেকে ১০০০ মিলি প্লাস্টিক বোতল নিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্কw সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।