রেহানার প্লট দুর্নীতি: খুশি নন খুরশীদের আইনজীবী, দুদকও অসন্তুষ্ট
শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট দুর্নীতির ছয় মামলায় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি খুরশীদ আলমের সোমবারের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী শাহীনুর রহমান।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “বৃহস্পতিবার তিনটি মামলায় রায় হয়েছে। সেখানে খুরশীদ আলমের এক বছর করে সাজা হয়েছে। এই মামলার নেচারও প্রায় একই রকম ছিল।
“আশা করেছিলাম, সাজা হলেও আগের ন্যায় হবে; হয়েছে পাঁচ বছর।”
এদিন শেখ রেহানার ১০ কাঠার প্লট দুর্নীতির মামলায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যার ৭ বছর, তার বোন শেখ হাসিনার ৫ বছর ও রেহানাকন্যা টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এ মামলার বাকি ১৪ আসামিকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছর করে কারাদণ্ড।
এর আগে বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্লট দুর্নীতি মামলায় এক বছর করে কারাদণ্ড হয় খুরশীদ আলমের। আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করায় তাকে লঘু শান্তি দেওয়ার কথা বলেছিলেন বিচারক।
সোমবার যে মামলায় খুরশীদের ৫ বছরের সাজা হয়েছে, তাতে একই ধরনের অভিযোগ থাকলেও সাজা বেশি হওয়ায় আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার আইনজীবী শাহীনুর।
তিনি বলেছেন, “রায়ে অসন্তুষ্ট। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করব।”
কারাগারে থাকা খুরশীদ আলমকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে রেহানার মামলার রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন দুদকের কৌঁসুলি খান মো. মাইনুল হাসান লিপন।
তিনি বলেন, “আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। সেটা হয়নি। কমিশনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির প্লট দুর্নীতি এবং ভাগ্নি আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর প্লট দুর্নীতি মামলারও আসামি খুরশীদ আলম। রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের এ দুই প্লট দুর্নীতির মামলা সাক্ষ্যের পর্যায়ে রয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলা করে দুদক।
প্লট দুর্নীতির চার মামলায় হাসিনাকে ২৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।