শনিবার ২৯ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩২, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

জর্ডান রাশিয়াকে তার নাগরিক নিয়োগ বন্ধ করতে বলেছে ইউক্রেন ভূমি ছেড়ে না দিলে রাশিয়া লড়াই চালিয়ে যাবে: পুতিন ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানালো দক্ষিণ আফ্রিকা তাহিতিতে ভূমিধসে ঘর চাপা পড়ে নিহত ৭ সম্পদের প্রতি শেখ হাসিনার ‘এত লোভ’! বিস্মিত বিচারক হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়বেন না জেড আই খান পান্না ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ জনের মৃত্যু ভোটের মাঠে তিন স্তরে নিরাপত্তা, সেনা থাকবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ দুটি ট্রলারসহ আরও ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হাসিনা পরিবারের রায়ে হতাশ দুদক ইন্দোনেশিয়ার বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ও দুই সন্তানের সাজা লঘুচাপ পরিণত নিম্নচাপে, বন্দরে সংকেত হোয়াইট হাউজের কাছে ২ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুলিবিদ্ধ, অবস্থা সঙ্কটজনক হংকংয়ে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন: মৃত্যু বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ ২৭৯

ইসলাম

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

 আপডেট: ২০:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা। উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা হিসেবে পরিচিত এ সূরাটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমরা ত্রিশ বারের বেশি পাঠ করি। 

সূরা ফাতিহার পাঠ ছাড়া কোনো নামাজ আদায় সম্পূর্ণ হয়না। 

এখানে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।

১. 
হযরত আবু সাঈদ আল-মুয়াল্লা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমি কি তোমাকে বলবো না কুরআনের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান সূরা কোনটি? সেটি হলো ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতিহা) যেটি সাত আয়াতের সমষ্টি এবং কুরআন কারীমের অংশ, যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (বুখারী)

২. 
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেনা, তার নামাজ কবুল হবেনা।” (বুখারী)

৩. 
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “বারবার পাঠ করা এই সাত আয়াত (সূরা ফাতিহা) হলো কুরআনের মা (উম্মুল কুরআন) ও কুরআনের সারাংশ।” (বুখারী)

৪.
হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর কিছু সাহাবী একবার এক বেদুইন গোত্রের কাছে গেলে তারা তাদের মেহমানদারী করা বা কিছু খেতে দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সেই গোত্রের নেতা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তারা রাসূলের সাহাবীদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে, “তোমাদের কাছে কোনো ঔষধ আছে কি?” তারা তখন উত্তর দেন, “হ্যা, আছে। কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমান হিসেবে গ্রহণ করোনি বা কিছু খেতেও দাওনি। সুতরাং তোমরা কিছু না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করবোনা।” তারা তখন একটি ভেড়া দিলে রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে একজন গিয়ে সূরা ফাতিহা তেলওয়াত করে আসেন এবং অসুস্থ ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে যায়। 

ঐ সাহাবীরা এসে রাসূল (সা.) কে ঘটনাটি বললে রাসূল (সা.) বলেন, “কিভাবে জানলে এটি (সূরা ফাতিহা) রোগের প্রতিষেধক?” (তিরমিজি)

৫.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর সাথে একবার জিবরাইল (আ.) থাকা অবস্থায় আকাশ থেকে তিনি এক শব্দ শুনলেন। জিবরাইল (আ.) তার দৃষ্টি আকাশে তুলে বললেন, “আসমানের একটি দরজা খোলা হয়েছে এবং এটি আগে কখনো খোলা হয়নি।”

সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা রাসূল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “আপনাকে দেওয়া দুই আলোর (নূর) সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার পূর্বের কোনো নবী-রাসূলকে দেওয়া হয়নি: কিতাবের সূচনা (সূরা ফাতিহা) এবং আল-বাকারার শেষ আয়াতসমূহ। এগুলো তেলওয়াত করে এর কল্যাণ থেকে কখনোই আপনি বঞ্চিত হবেননা।” (মুসলিম)

অনলাইন নিউজ পোর্টাল