শুক্রবার ০৭ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৩ ১৪৩২, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণা করুন: ফখরুল আমজনতার দলের নিবন্ধন অবশ্যই প্রাপ্য: রিজভী ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ পাখি খাদ্যের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান থেকে পপি বীজ এনে ধরা মার্জারে যাওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত জেমকন গ্রুপের পরিচালক আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ফ্ল্যাট-জমি জব্দ গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজনে ‘আঙুল বাঁকা করার’ হুমকি জামায়াতের বাংলাদেশে ‘আপাতত’ আসা হচ্ছে না জাকির নায়েকের হাসিনা, জয় ও পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া শেষ লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিন হাই কোর্টে দুদকের মামলায় সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের বিচার শুরু ময়মনসিংহে হত‍্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

ইসলাম

রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের অনুকরণে ঈদুল আযহা

 প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৮ জুলাই ২০২১

রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের অনুকরণে ঈদুল আযহা

প্রতি বছর হিজরী ক্যালেন্ডারের সর্বশেষ মাস জিলহজ্জ্বের ১০ তারিখ পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহা। মূলত এর মাধ্যমে মক্কায় বিশ্ব মুসলমানের বার্ষিক সম্মেলন পবিত্র হজ্জ্বের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করা হয়। মুসলমানদের বৃহৎ দুই বার্ষিক উৎসবের মধ্যে অন্যতম পবিত্র ঈদুল আযহা।

হযরত উকাবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“আরাফাতের দিন, কুরবানীর দিন এবং তাশরিকের দিন আমাদের মুসলমানদের উৎসবের দিন। এই দিনগুলো পানাহারের দিন।” (তিরমিজি)

কুরবানীর দিন তথা ঈদুল আযহা এমন একদিন যেদিন একসাথে অনেক ইবাদত জড়িয়ে থাকে তথা এদিন আল্লাহর মহত্ব তথা তাকবীর ঘোষণার পাশাপাশি বিশাল সমাবেশে একত্রে ঈদের নামাজ আদায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানী করা হয়।

কোন কোন আলেম ঈদের নামাজকে ফরজে কিফায়া আবার অনেক আলেম একে ফরজে আইন হিসেবে চিহ্নিত করেন। যে মতামতই আপনি অনুসরণ করেন না কেন, এই দিনটি মুমিনদের একত্রিত হওয়ার দিন এবং তাদের একতা-সংহতির প্রকাশের দিন। সুতরাং, এই ক্ষেত্রে ঈদের নামাজের গুরুত্বকে কখনোই অস্বীকার করা যায়না।

রাসূল (সা.) এর সুন্নত
১. ঈদের দিনে রাসূল (সা.) সকালেই গোসল করে নিতেন।

২. গোসল করার পর তিনি তার সর্বোত্তম পোশাকটি পরিধান করে নামাজে যেতেন।

৩. ঈদুল ফিতরের সময় কিছু না খেয়ে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন না। কিন্তু ঈদুল আযহায় তিনি না খেয়েই নামাজে যেতেন এবং ফেরার পর কুরবানীর গোশত দিয়েই দিনের প্রথম আহার গ্রহণ করতেন। 

৪. রাসূল (সা.) পায়ে হেটেই ঈদের নামাজের জন্য যেতেন। তিনি যে পথ দিয়ে নামাজের জন্য যেতেন, ফেরার সময় সে পথে না ফিরে ভিন্ন পথে ঘরে ফিরতেন।

৫. ঈদুল আযহার সময় জোরে জোরে তাকবীর তথা ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” উচ্চারন করতে করতে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন।

৬. রাসূল (সা.) সাধারনত বিশাল খোলা স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।

৭. ঈদের নামাজের আগে পরে তিনি কোন নামাজ আদায় করতেন না।

৮. ঈদের নামাজের জন্য কোন আযান বা ইকামত নির্দিষ্ট থাকতো না।

৯. ঈদের নামাজ আদায়ের পর রাসূল (সা.) ঈদের খুতবা দিতেন।

১০. ঈদের নামাজের পর রাসূল (সা.) নামাজ পড়ার স্থানেই সাধারনত কুরবানী করতেন।

১১. রাসূল (সা.) ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং নামাজের আগে কুরবানী দেওয়া ব্যক্তিদের নামাজের পরে পুনরায় কুরবানীর আদেশ দিয়েছেন।

১০. তাশরিকের দিনগুলোতে তথা জিলহজ্জ্বের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ তাকবীর পাঠ করা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সুন্নত। এই দিনগুলোতে ফরজ নামাজের পর পর রাসূল (সা.) তাকবীর পাঠ করতেন।

আল্লাহ আমাদের সকলের ঈদকে আনন্দময় করুন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল