হাইতির ওপর আরও এক বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে হাইতির ওপর আরও এক বছরের জন্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং দুই ব্যক্তিকে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
দেশটিতে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে সময় দেশটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য বেড়ে ছিল।
তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথমে এই নিষেধাজ্ঞা নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্রের ওপর সীমাবদ্ধ ছিল। পরে তা সম্প্রসারিত হয়ে হাইতিতে সব ধরনের অস্ত্র রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় পরিণত হয়।
যদিও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীর জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদ সতর্ক করে বলেছে, চলমান গ্যাং সহিংসতা ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মানকে দুর্বল করছে, মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং মানবিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে নিষেধাজ্ঞাগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।
আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি দীর্ঘদিন ধরে হিংসাত্মক অপরাধী চক্রের হাতে ভুগছে। এই অপরাধী চক্রগুলো দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিরতার পটভূমিতে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অপহরণ করে যাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। যখন একটি সমন্বিত গ্যাং হামলা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
জাতিসংঘ একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যার আওতায় দিমিত্রি হেরার্ড রয়েছেন। দিমিত্রি ২০২১ সালে নিহত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসের নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন এবং অন্যজন আর্জেন্টিন্স গ্যাং নেতা কেম্পেস সানোন।
যুক্তরাষ্ট্রও শুক্রবার হেরার্ড ও সানোনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
তারা এখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা আরও নয় ব্যক্তি ও দুটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হলেন। এই তালিকায় কুখ্যাত গ্যাং জোট ভিভ আনসানম এবং জোটটির নেতা জিমি ‘বারবিকিউ’ চেরিজিয়ে রয়েছেন।