বইমেলায় অবমুক্ত হলো মিযানুর রহমান জামীল’র ভোরের আজান

কবি ও কবিতা সম্পর্কে দেশের মানুষের মানসিকতা এবং মূল্যায়নের চরিত্র আগামী দিনে বদলাবে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক গবেষক মুহাদ্দিস মাওলানা যাইনুল আবিদীন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলায় কবি মিযানুর রহমান জামীল এর ‘ভোরের আজান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা যাইনুল আবিদীন বলেন, “কবিতা কেবল ছন্দে লেখা কিছু শব্দ নয়; এটি এক জাতির চেতনার প্রতিচ্ছবি, একটি প্রজন্মের চিন্তার সুর। কবি সমাজের দর্পণ—যিনি শব্দ দিয়ে হৃদয়ের ভাষা বলেন। আগামী দিনে কবিতার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি ও গল্পকার রুহুল আমিন বাচ্চু, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম সভাপতি কবি মুনীরুল ইসলাম, ছড়াশিল্পী মাসউদুল কাদির, লেখক ও প্রকাশক মালেক মাহমুদ, জনপ্রিয় ছড়াকার সুমন রায়হান, কবি ও পুঁথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক সাহেব বিপ্লব, ঔপন্যাসিক সায়ীদ উসমান, কবি আতিকুজ্জামান খান, ইসলাহ বাংলাদেশের পরিচালক কাজী সিকান্দার, সংগঠক আহমেদ ইসহাক, কথাশিল্পী ওমর ফারুক মজুমদার। বক্তারা বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবিক চেতনার সংমিশ্রণে রচিত সাহিত্যই জাতিকে প্রকৃত অর্থে আলোকিত করতে পারে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কবিতার জগৎ যত বেশি বিকশিত হবে, ততই সমাজে নৈতিক জাগরণ ঘটবে।”‘ভোরের আজান’ বইটি প্রকাশ হয়েছে কাব্যকথা প্রকাশনী থেকে। লেখকের ভাষায়, “ভোরের আজান কাব্যগ্রন্থে ধর্মীয় ভাবধারা, সামাজিক বাস্তবতা ও আত্মজাগরণের অনুরণন এক সুরে মিশে গেছে।”এছাড়াও উবায়দুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, আলেম, সাংবাদিক, সাহিত্যপ্রেমী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বইটি সম্পর্কে পাঠক মহলে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। ‘ভোরের আজান’ বইটি বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ১৯১ নম্বর (প্রয়াস প্রকাশন) এবং ৭০ নম্বর (মাকতাবাতুল খিদমাহ) ও ২০ নম্বর (সাত ভাই চম্পা) স্টলে।