এবার সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার তাদের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যাচাই–বাছাই শেষে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ অনুসন্ধান চালানো হবে।
এর মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা কোনো ব্যক্তি প্রথমবারের মতো নিজ সংস্থার অনুসন্ধানের মুখোমুখি হচ্ছেন।
দুদকের মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হ্যাঁ, তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
তবে তিনি অভিযোগের বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
দুদকের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আলোচিত স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু এবং ইকবাল মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুল ছিলেন ঠিকাদার মিঠুর ব্যবসায়িক সহযোগী। এই সম্পর্কের সুযোগে তারা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ইকবাল মাহমুদের প্রভাবের কারণে মিঠু ও বকুল দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঠিকাদার মিঠুর কাছ থেকে ঢাকার গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন ইকবাল মাহমুদ—এমন অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়েও অনুসন্ধান চালানো হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুলের সম্পদের উৎস, বিদেশে সম্ভাব্য লেনদেন এবং যৌথ ব্যবসার আর্থিক তথ্যও পর্যালোচনা করবে দুদক।
স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর মিঠুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুদক বলছে, স্বাস্থ্য খাতের বিস্তৃত অনিয়ম, পাচারকৃত অর্থ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।