মামুন হত্যা
আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
ঢাকার আদালত পাড়ার অদূরে দিনে দুপুরে এক আসামি হত্যাকাণ্ডের পর আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ চিঠি পাঠান বলে জানিয়েছেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নাজির আবুল হাসান কানন।
২৮ বছর আগের এক মামলায় হাজিরা দিতে সোমবার ঢাকার আদালতে আসেন এক সময়ের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুন। ফেরার পথে আদালতের কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকের সামনে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়।
মামুনকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার কথা উল্লেখ করে পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “তিনি আদালতে একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে সংশ্লিষ্ট একটি আদালতে হাজিরা প্রদান করে বাড়ি ফেরার সময় কোর্ট আঙিনার পাশে তাকে হত্যা করা হয়। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আদালত প্রাঙ্গণ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই নাজুক।”
বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান চিঠিতে বলেছেন, ঢাকার আদালতপাড়ায় মহানগর হাকিমের ৩৭টি আদালত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। ঢাকা মহানগরীর ৫০টি থানার বিভিন্ন ধরনের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন, সেসব বিচারকদের রোজকার কার্যক্রম সম্পাদনে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“বিচারকরা এজলাসে বিচারকার্য সম্পন্ন করে খাস কামরায় বিভিন্ন মামলার আদেশ ও রায় লেখার কাজ করে থাকেন। এর ফলে তাদেরকে বাসায় ফিরতে প্রতিদিন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে থাকে। এ আদালত ভবন এলাকা ও প্রাঙ্গণের রাস্তায় বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান, যানবাহন যত্রতত্রভাবে পরিচালনা করা হয়। এটি আদালত সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
আদালতে প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ছাড়াও আইনজীবী ও তাদের সহকারী, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে উল্লেখ করে চিঠিতে ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ এবং নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আদালত এলাকায় সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনুরোধ করা হয়েছে।