মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫, আশ্বিন ২৯ ১৪৩২, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গাজা ঘোষণাপত্রে নেতাদের স্বাক্ষর ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অসাধারণ দিন’: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে `শেষ পর্যন্ত লড়াই` করবে চীন গাজা থেকে মুক্ত ৭ জিম্মিকে গ্রহণ করেছে ইসরাইল ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা প্রদান করবে ইসরাইল ঘানার নৌকাডুবিতে ১৫ জন নিহত বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিরত রাখা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধান উপদেষ্টার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল : চিফ প্রসিকিউটর বিগত তিনটি নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিশন পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো কারণ নেই: ইরান

জাতীয়

আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা

 প্রকাশিত: ১৮:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের আসবাবপত্র শিল্পে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ শিল্পের উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। দেশের সম্পদ ও সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দ্রুততম সময়ে বৈশ্বিক আসবাবপত্র বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার অর্থনীতিতে ‘বুদবুদ’ তৈরি করেছিল, যা কর্মসংস্থান না করলেও ব্যাংকের শাখা ও কিছু অফিস বাড়িয়েছিল। সঙ্গত কারণেই বর্তমান সরকারকে সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে। না হলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াত না।

তিনি বলেন, ফার্নিচারের কার্যকরী ও নান্দনিক বৈশিষ্ট্য (ফাংশনাল ও এসথেটিক অ্যাট্রিবিউট) নেই, প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনও হচ্ছে না। সরকার নীতিগতভাবে যতটা আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তা করছে। ব্যবসায়ীদের উচিত উদ্ভাবন বাড়ানো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফার্নিচার শিল্পের জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে। এই শিল্পে নান্দনিকতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ রয়েছে- তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফার্নিচারের দামের কারণে নয়, উদ্ভাবনের অভাবে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের উচিত ফার্নিচার শিল্পে উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়ানো। আমরা কিছু দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, যা এই শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

বিএফআইওএ’র চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের মেলায় ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা সর্বাধুনিক নকশা ও পণ্যের প্রদর্শনী করবে ২৭৮টি স্টলে।

বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের গুলনকশা (হল-১), পুষ্পগুচ্ছ (হল-২) এবং রাজদর্শন (হল-৩) হলে পাঁচ দিনের এই মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘আমার দেশ, আমার আশা—দেশীয় ফার্নিচারে সাজাবো বাসা’ স্লোগানে আয়োজিত এই মেলা দেশের ফার্নিচার শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন।