সোমবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১৭ ১৪৩২, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

এবার সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক একনেকে জুলাই শহীদ পরিবারের আবাসনসহ ১৭ প্রকল্প অনুমোদন ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু আদালতের রায়কে ‘প্রহসন’ বললেন টিউলিপ তারেক রহমানের ফেরায় বাধা থাকলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে: আসিফ নজরুল কেমন আছেন খালেদা জিয়া? ‘বিভ্রান্ত না হওয়ার’ আহ্বান ফখরুলের খালেদার জন্য চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন: ফখরুল খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, নিচ্ছেন তরল খাবার আন্দোলনে শিক্ষকরা, অধিকাংশ সরকারি স্কুলে হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: প্রেস সচিব বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া রেহানার প্লট দুর্নীতি: খুশি নন খুরশীদের আইনজীবী, দুদকও অসন্তুষ্ট বাংলাদেশে প্লট দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ এশিয়ার বন্যার্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনী, মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ হাসিনার ৫ রেহানার ৭ ও টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড

ইসলাম

বাউল ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিবকে ক্ষমা চাইতে বলল হেফাজতে ইসলাম

 আপডেট: ১৬:১৯, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

বাউল ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিবকে ক্ষমা চাইতে বলল হেফাজতে ইসলাম

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাউল আবুল সরকারের বিচার দাবি করে হেফাজতে ইসলাম। এ প্রসঙ্গে, বাউলদের সমালোচককে ধর্মান্ধ বলে উল্লেখ করার জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চাইতে বলেছে দলটি।

আল্লাহ, পবিত্র কোরআন ও ইসলামকে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের সামনে হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার একটি সমাবেশ থেকে এই দাবিটি জানান দেওয়া হয়।

হেফাজতের নায়েবে আমির এবং ঢাকা মহানগরের আমির জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘আবুল সরকার যে ধরনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা একজন মুসলমান মেনে নিতে পারে না। এটি শুধু ধর্ম অবমাননা নয়; বরং মুসলমানদের ইমানের ওপর একটি প্রকাশ্য আঘাত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমরা সাবধান করতে চাই। তিনি বাউলদের সমালোচনা করে ধর্মান্ধ বলে উল্লেখ করেছেন। এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চান। নাহলে বিএনপির মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করুন।’

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘যারা আবুল সরকারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কিংবা তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করছে, তাদেরকে মনে রাখতে হবে, এই দেশের ঈমানদার জনগণ নিরবে বসে থাকবে না। যদি অতি দ্রুত মামলা প্রত্যাহার ও আবুল সরকারের বিচার না হয়, তাহলে তৌহিদি জনতা রাস্তায় নামবে। প্রয়োজনে দেশকে অচল করে দেওয়া হবে।’

সমাবেশ শেষে মিছিল চলাকালীন এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে মিছিলকারীরা। মোবাইল চোর বলেই তাদের সন্দেহ ছিল এবং তাকে মারধর করা হয়। ওই ব্যক্তিকে বাউল আখ্যা দিয়ে কিছু লোক মারধরও করে। পরবর্তীতে হেফাজতের স্বেচ্ছাসেবকরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এবং মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।