বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে রাজি না হলে ‘করার কিছু নেই’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন করবো, তবে কোন দল থেকে নিশ্চিত না: আসিফ মাহমুদ আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ধানের শীষকে জেতানোর বিকল্প নেই: তারেক রহমান মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার অচিরেই দেশে ফিরে হাল ধরবেন তারেক রহমান: মির্জা আব্বাস ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন, ‘অবরুদ্ধ’ অর্থ উপদেষ্টা দক্ষিণ চীনে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু ইউরোপকে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ ও ‘দুর্বল’ বললেন ট্রাম্প ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর: খালেদার জন্য হাসিনা ‘উদ্বিগ্ন’ প্রথম ধাপে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো এনসিপি মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আতিকুর রহমান প্রাথমিকের ছুটি বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ

ইসলাম

মহররম মাসের কোন কোন দিন রোজা রাখবো?

 প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২৫ জুলাই ২০২৩

মহররম মাসের কোন কোন দিন রোজা রাখবো?

প্রশ্নঃ ৩৬৭২০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মোহররম মাসের কোন কোন দিন রোজা রাখবো আর রোজা রাখলে রোজার ফযিলত কি?

উত্তর:
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সাধারনভাবে মহররম মাসে অধিকহারে রোজা রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

أَفْضَلُ الصِّيَامِ، بَعْدَ رَمَضَانَ، شَهْرُ اللهِ الْمُحَرّمُ

রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। (সহিহ মুসলিম ১১৬৩)

আর বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে কেবল আশুরা তথা মহররমের দশম তারিখের রোজার বিষয়ে। আবু কাতাদাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

صيام يوم عاشوراء، إني أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله

আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম ১৯৭৬)

আর আশুরার সাথে তাসুআ তথা মহররমের নয় তারিখের রোজা রাখাও মুস্তাহাব। কেননা, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাযি. বর্ণনা করেন,

حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ “فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ”. قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ

যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আগামী বছর এদিন আসলে, আমরা নবম দিনও রোজা রাখব ইনশাল্লাহ। বর্ণনাকারী বলছেন, আগামী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ওফাত হয়ে গিয়েছে। ( মুসলিম ১৯৪৬)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

মুসলিম বাংলা