ঈদযাত্রার শেষ দিনেও ফেরিঘাটে মানুষের ঢল

ঈদের আগের দিনও দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ঢল শিমুলিয়া ঘাটে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ ভিড় করছে শিমুলিয়া ঘাটে।
শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকলেও যাত্রী চাপে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে, মঙ্গলবার পদ্মায় তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারে বেশি সময় আর ঘাটে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতশত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও কয়েক কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫ ফেরি ও ৮৪ লঞ্চ সচল রয়েছে।
শরীয়তপুরগামী যাত্রী ইয়াসির জানান, বছরে একটা দিন পরিবারের সঙ্গে না কাটাতে পারলে বছর ভরে এতো পরিশ্রম, এত কষ্ট করে কি লাভ। বাড়িতে যাচ্ছি সবার সঙ্গে ঈদ করবো।
আরেক যাত্রী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করি৷ গতকাল থেকে ছুটি হয়েছে। এরপরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে বাড়ি যাচ্ছি ঝালকাঠি। কোরবানির গরু এখনো কেনা হয়নি। সকাল সকাল তাই রওনা দিয়েছি বাড়ি গিয়ে গরু কিনতে হবে।
আরেক যাত্রী আব্দুস সাত্তার বলেন, বৃষ্টিতে চলাচল একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তাতে কি। বাড়ি ফিরতে হবে। বাড়ি ফেরাতেই আসল ঈদ।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানায়, বরাবরই ঈদের আগে শেষ দুদিনে যাত্রীদের চাপ পড়ে। ৮৪ লঞ্চ দিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া মাজিরকান্দি রুটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নদীতে ১৫ ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে সাত শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষা। লঞ্চে যাত্রী চাপ বাড়ায় অনেক যাত্রী ফেরিতে আসছে। এতে ফেরিতেও যাত্রী চাপ আছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল