সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫, আশ্বিন ২৭ ১৪৩২, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টিরশঙ্কা জানালেন

 প্রকাশিত: ১০:৫০, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টিরশঙ্কা জানালেন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।

 

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘ধর্ম, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের চেয়ে ক্ষমতা বড় না হোক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন

 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশবিরোধী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ংকর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিচ্ছেন।

 

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে পথে যাওয়ার কথা, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন কিন্তু সেটি হয়নি। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চারদিকে চলছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি ভয়ংকর শক্তি কাজ করছে; যেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়েছে।

 

ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগ সত্য নয়। তাই ভারত সম্পর্কে আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

 

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু বলেন, শুধু প্রধান উপদেষ্টার ভারতবিষয়ক মন্তব্যেই থেমে থাকলে চলবে না। এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ছাত্র, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

 

তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কথা বলবে, কিন্তু একটি বিষয়ে সবার ঐক্য থাকা জরুরি। তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটের নামে তামাশা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমান সরকারের নিজের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তারা যতই লাফাক, তাদের আসল শক্তি হচ্ছে কিছু দল যারা নিজেদের স্বার্থে সরকারকে সমর্থন করছে। আমাদের লক্ষ্য সেই গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও অক্ষুণ্ণ রাখা।