সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৯ ১৪৩২, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

গণভোটের আলোচনায় ইউনূসকে ‘রেফারির ভূমিকায়’ চায় ধর্মভিত্তিক ৮ দল ১৯৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সালমান এফ রহমান, ভাই, ছেলেদের বিরুদ্ধে ৫ মামলা ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৭ অভ্যুত্থানের পর প্রথম বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগে রেকর্ড প্রাথমিকের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বাদ রাজনৈতিক দলগুলোই ঠিক করবে গণভোটের সময় এমপিওভুক্তির দাবিতে ফের লাগাতার অবস্থানে শিক্ষকরা নির্বাচনের ওপর `নির্ভর করছে` দেশ কোন দিকে যাবে: সিইসি জাতীয় নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন প্রবাসীরা ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২০ লঘুচাপ: উপকূলে জোয়ারের উচ্চতা বাড়ার আভাস প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ৮ আপাতত ইউক্রেইনের জন্য কোনো টমাহক নয়: ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

ইসলাম

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

 আপডেট: ২০:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা। উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা হিসেবে পরিচিত এ সূরাটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমরা ত্রিশ বারের বেশি পাঠ করি। 

সূরা ফাতিহার পাঠ ছাড়া কোনো নামাজ আদায় সম্পূর্ণ হয়না। 

এখানে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।

১. 
হযরত আবু সাঈদ আল-মুয়াল্লা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমি কি তোমাকে বলবো না কুরআনের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান সূরা কোনটি? সেটি হলো ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতিহা) যেটি সাত আয়াতের সমষ্টি এবং কুরআন কারীমের অংশ, যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (বুখারী)

২. 
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেনা, তার নামাজ কবুল হবেনা।” (বুখারী)

৩. 
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “বারবার পাঠ করা এই সাত আয়াত (সূরা ফাতিহা) হলো কুরআনের মা (উম্মুল কুরআন) ও কুরআনের সারাংশ।” (বুখারী)

৪.
হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর কিছু সাহাবী একবার এক বেদুইন গোত্রের কাছে গেলে তারা তাদের মেহমানদারী করা বা কিছু খেতে দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সেই গোত্রের নেতা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তারা রাসূলের সাহাবীদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে, “তোমাদের কাছে কোনো ঔষধ আছে কি?” তারা তখন উত্তর দেন, “হ্যা, আছে। কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমান হিসেবে গ্রহণ করোনি বা কিছু খেতেও দাওনি। সুতরাং তোমরা কিছু না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করবোনা।” তারা তখন একটি ভেড়া দিলে রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে একজন গিয়ে সূরা ফাতিহা তেলওয়াত করে আসেন এবং অসুস্থ ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে যায়। 

ঐ সাহাবীরা এসে রাসূল (সা.) কে ঘটনাটি বললে রাসূল (সা.) বলেন, “কিভাবে জানলে এটি (সূরা ফাতিহা) রোগের প্রতিষেধক?” (তিরমিজি)

৫.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর সাথে একবার জিবরাইল (আ.) থাকা অবস্থায় আকাশ থেকে তিনি এক শব্দ শুনলেন। জিবরাইল (আ.) তার দৃষ্টি আকাশে তুলে বললেন, “আসমানের একটি দরজা খোলা হয়েছে এবং এটি আগে কখনো খোলা হয়নি।”

সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা রাসূল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “আপনাকে দেওয়া দুই আলোর (নূর) সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার পূর্বের কোনো নবী-রাসূলকে দেওয়া হয়নি: কিতাবের সূচনা (সূরা ফাতিহা) এবং আল-বাকারার শেষ আয়াতসমূহ। এগুলো তেলওয়াত করে এর কল্যাণ থেকে কখনোই আপনি বঞ্চিত হবেননা।” (মুসলিম)

অনলাইন নিউজ পোর্টাল