মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩২, ০৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ইসলাম

আজহারীর বর্ণনায় নবীজির শারীরিক ও চারিত্রিক সৌন্দর্য

 প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

আজহারীর বর্ণনায় নবীজির শারীরিক ও চারিত্রিক সৌন্দর্য

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী তাঁর ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর শারীরিক সৌন্দর্য ও মহৎ চরিত্র চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।

আজহারী লিখেছেন, নবীজি (স.) ছিলেন মধ্যম উচ্চতার, সুগঠিত দেহের অধিকারী। তাঁর মুখমণ্ডল ছিল চাঁদের মতো উজ্জ্বল, সর্বদা মায়াময় মুচকি হাসিতে ভরপুর। প্রশস্ত কাঁধ, দৃপ্ত পদক্ষেপ, শুভ্র দাঁত ও কোমল দৃষ্টি তাঁর ব্যক্তিত্বকে আরও অনন্য করে তুলেছিল। চোখ ছিল হরিণীর মতো মায়াবী—সাদা অংশ ছিল ধবধবে শুভ্র আর কালো অংশ ছিল কুচকুচে কালো।

তিনি উল্লেখ করেন, নবীজির (স.) চুল ছিল হালকা কোঁকড়ানো, কখনো কান ছুঁই ছুঁই করত, আবার কখনো কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছাত। জীবনের শেষ প্রান্তে তাঁর দাড়ি-চুলে মাত্র কুড়ি গোটা সাদা চুল দেখা গিয়েছিল।

ড. আজহারী তাঁর লেখায় নবীজির (স.) চরিত্রগত সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠত্বও তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি, কখনো কাউকে কষ্ট দেননি, কখনো খাবারে দোষ খুঁজেননি। বরং যা সামনে আসত তাই খেয়ে নিতেন। তাঁর নম্রতা, দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য এবং সত্যবাদিতা ছিল অসাধারণ।’

সাহাবিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, নবীজিকে (স.) প্রথমবার দেখলে অন্তরে ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধা জন্ম নিত, আর সান্নিধ্যে এলে গভীর ভালোবাসা জন্ম দিত। হাসসান বিন সাবিত (রা.)-এর কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন- ‘আপনার চেয়ে সুন্দর কাউকে আমার চোখ দেখেনি, আর আপনার চেয়ে মহিমান্বিত কাউকে কোনো নারী জন্ম দেয়নি। আপনাকে প্রতিটি ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে, যেন আপনার ইচ্ছা মতো আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।